|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটির ড্রিম-ওয়ে হোটেলে দু’স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দু’যুবককে আটক করেছে। তারা হলেন, মো. রিয়াদ(২২) ও মো. সাকিব (২৩)। ধর্ষকদের রক্ষায় বিশেষ একটি প্রভাবশালী চক্র কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে।
পুলিশ ও ভিকটিম পরিবার জানিয়েছে, শহরের ফিসারী ঘাট শান্তি নগর এলাকার মো. রিয়াদ ও মো. সাকিব পরষ্পর যোগসাজশের মাধ্যমে স্থানীয় স্কুলের দু’শিক্ষার্থী মুনিয়া (১৫) (ছদ্মনাম) ও কথা (১৬) (ছদ্মনাম) কে গত রোববার সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় স্কুল যাওয়ার পথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেল ড্রিম-ওয়েতে নিয়ে যায়। এরপর ১১৩ নং কক্ষে ঢুকিয়ে টানা একদিন এক রাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক । এ ঘটনা ভিকটিম দ্বয় বাসায় ফিরে তাদের অভিবাবককে জানায়। বুধবার দু’ভিকটিমের পক্ষ থেকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়ের করার সময় মায়ের পাশে বসা ভিকটিমদ্বয় অশ্রু ভেজা নয়নে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান।
মামলা দায়ের করা পরে এসআই আশরাফ হোসেন’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম পৃথক দু’টি স্থানে অভিযান চালিয়ে রাতেই দু’ধর্ষককে আটকে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য হোটেল ড্রীমওয়ের ১১৩ নং কক্ষে ১টা কাপল বেড ও ১টা সিঙ্গেল বেড রয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রারেও তিনজনের নাম এন্ট্রি করা হয়। অথচ হোটেল কক্ষে ছিলো চারজন। ধর্ষক দ্বয় এর আগেও ঐ হোটেলে মেয়েদের নিয়ে এসে এভাবে ধর্ষণ করতো বলে পুলিশকে জানায়। হোটেল রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করা তাদের নাম ঠিকানায়ও গড়মিল রয়েছে। কিন্তু হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে তাদের উপস্থিতির প্রমান পাওয়া গেছে।
ভিকটিম মুনিয়া (ছদ্মনাম)’র মা কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। বিভিন্ন জন এসে আমাদেরকে মামলা দায়ের করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। জানি না সামনে কি হবে?
হোটেল ড্রম-ওয়ে’র ম্যানেজার মো. ফারুক প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করলেও, মালিক মো. মোস্তফার সাথে স্বাক্ষাৎ হলে উভয়েই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নিয়ম মতো রুম ভাড়া দিয়েছি। তারা রুমে কে, কখন কি করেছে তা আমরা জানি না।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা যে যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।