———–
হঠাৎ রাত্রির নিঝুম সব নীরবতা ভেঙ্গে তুমি টুক করে বলে দিতেও তো পারতে, কেনো আজো এতোটা চেনা হয়েও অচেনা ছিলাম আমি। কেনো এতোটা কাছে এসেও কাছে আসতে পারলে না। কেনো এতো হাসার পরও হাসতে পারলে না।
প্রয়োজন মনে করো নি বোধহয়,
আসলে ভুল মানুষের ভুল গুলো মনে রাখার কোনো মানে হয় না।
রাত্রি আসলেও কিন্তু তোমায় মনে পরে না, মনে পরে অন্ধকারের ঘোরে যখন নীরবতা গুলো নেমে আসে।
যখন একটা কাক ডেকে উঠে, তার সেই সুরের বেসুর কন্ঠে, তখন মনে পরে।
তুমিতো রাত্রে অন্য কারো সাথে নিরবের নিরবতার গল্পগুলো সেরে ফেলো, গভীর রাত্রের অন্ধকারে আমি যেমন কুঁকড়ে যেতে থাকি।
বেদনা আমাকে ছুতে পারে নাতো, সেতো অনেক সস্তা কিছু আমার কাছে আজকাল। আমি বাঁচি, আমার বাঁচাতে ইচ্ছে হওয়ার ইচ্ছেতে, সীমাবন্ধে থাকাটা আমার কাছে আজকাল শুধুই হাস্যকর।
আজ যা লিখি তা লেখা নয়, যা লিখতে পারি না কোনমতেই। বের হতে চায় না, কলমের ওই ছোট্ট শিষ দিয়ে ওগুলোই আমার লেখা।
বনলতা সেন, নামটা আমার অনেক পছন্দের। জানতো?
তোমার অবশ্য না জানারই কথা, এসব মনে রাখার মতো ওতো বড় মনের প্রখরতা নেই তোমার। তুমিই তো শান্তি দিয়েছিলে একদিন, আবার অশান্তির কালো ছায়া দিয়েও জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে গেছো। তোমাকে এখন আর বনলতা সেন বলতে ভীষণ লজ্জা হয় আমার। ভংয়কর ধরনের ঘৃণা, তোমার ছবি আমার মন থেকে মুছে দিতে চায়। তুমি কতটুক বনলতা সেন হওয়ার যোগ্য?
একটুও না, একচুলো না।
———-
জীবন কুমার রায়
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।