ঢাকাশনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

সুবর্ণচরে ইউপি সদস্যের যোগসাজশে বসতভিটা জবর-দখলের চেষ্টার অভিযোগ

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৪ অক্টোবর ২০২২, ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি অসহায় পরিবারের বসত ভিটা জবর-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।

গত শনিবার (১ অক্টাবর) মধ্যরাতে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরহাসান ভুঁইয়ার হাট এলাকার আহম্মদ মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) কামাল উদ্দিন উদ্দিনের ভাই জামালসহ তার পরিবারের সদস্যরা বসত ভিটায় রাতের আধাঁরে হামলা ভাংচুর করে জবর-দখল করতে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। এরপর জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চরজব্বার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরহাসান ভুঁইয়ার হাট এলাকার ভুক্তভোগী আহম্মদ মাঝির স্ত্রী কোহিনুর বেগম ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মধ্যে থাকা দুইটি বসত ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার গাছের সাথে ঝুলছে। ঘরের বেড়া কিংবা আসবাবপত্রের চিহ্ন নেই। বাড়ির রাস্তার ধারে গাছপালা কাটা । মুল সড়কে ঘরের চালা ও কয়েকটি বেড়া পড়ে আছে। এলাকার লোকজন বলছে রাতে চোর ডাকাত পড়েছে এমন শব্দ শুনে এগিয়ে আসতে কয়েকজন যুবক তাদের গতিরোধ করে চলে যেথে বলেন। তাদের নাম জানতে চাইলে ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, একই এলাকার মৃত আবদুল হকের ছেলে জামাল উদ্দিন,আলা উদ্দিন, মিজানুর রহমান,কামাল হোসেন,রফিক মিয়া,আজাদ হোসেন নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন তার স্বত্ত্বদখলী জমিতে বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান এবং তাদের মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

গৃহবধু কোহিনুর বেগম লিখিত অভিযোগে আরো জানান, তিনি বসত ভিটার ১ একর জমি আমি নথি সূত্রে দীর্ঘদিন ভোগদখলে রয়েছেন। এ জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে কখনো বিঘ্ন ঘটেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জামাল হোসেন ও তার ভাইদের নেতৃত্বে প্রভাবশালী চক্র আমাদের দূর্বলতার সুযোগে নথিকৃত জমিটি জবর-দখলের হুমকী দিয়ে আসছে এবং কয়েকবার দখলে ব্যর্থ হয়ে তাকে এবং তার স্বামী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে।

সর্বশেষ গত শনিবার, ১ অক্টোবর রাতে তিনটার দিকে জামাল উদ্দিন একশোর অধিক লোকজন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের উপর হামলা চালায়। বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে বাড়ির দুইটি বসতঘর খুলে গাড়ি ভর্তি করে সবগুলো মালামাল নিয়ে যায়। তাঁর স্বামী সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়। বাড়িতে রোপনকৃত চারা এবং ঘেরা-বেড়া উপড়ে ফেলে সেগুলো ও নিয়ে যায়। এলোপাথাড়ি পিঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের আহত করে গয়না ও আলমারিতে থাকা টাকা পয়সা চিনিয়ে নিয়ে যায়। এলাকার কেউই ভয়ে এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কোহিনুর বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাই আইনী প্রতিকার পাওয়ার জন্য রোববার সকালে চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কোহিনুরের স্বামী আহম্মদ মাঝি জানান, তাঁর অনুপস্থিতিতে শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে একটি দল তাদের বসত ভিটায় প্রবেশ করে ভাংচুর করে। কিন্তু তার স্ত্রীর দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চরজব্বার থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার কামাল উদ্দিন বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেননা। অসহায় পরিবারের বসত ভিটা জবর দখলের কথা জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, এ ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় গতকাল ভুক্তভোগী পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

170 Views

আরও পড়ুন

নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন পরিক্রমা...
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সাংসদ ইবরাহীমের বিরুদ্ধে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় প্রথম ফার্মা সামিট’২৪ অনুষ্ঠিত

ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি : কোনও রান না দিয়েই ৭ উইকেট

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

এশিয়া এখন জ্বলন্ত উনুন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ

কাটা হবে ৩ হাজার গাছ, বন বিভাগ বলছে ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই’

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি !! 

শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি ॥ দেবশীষ- সভাপতি, মেরাজ সা: সম্পাদক

রাজশাহীতে বিএসটিআই’র অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা।

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামী কানন মিয়া গ্রেফতার

আদমদীঘিতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা