আব্দুল গফুর,কক্সবাজার :
সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে অগিদগ্ধ ঘটনার আহত নয় বছরের শিশু রিজভী ও হোটেল মালিক আকতার হোসেনসহ দুইজনেই দীর্ঘ চিকিৎসার পর আগুনে লিলেহান থেকে বাঁচতে পারেনি তারা কেউ।
৩১ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগারোটা সময়ে কক্সবাজার শহরে মোহাজের পাড়া এলাকায় মায়ের দোয়া নামে একটি চায়ের দোকানে সিলিণ্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ঘটনা ঘটে।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে সময় নাস্তা কিনার অপেক্ষায় হোটেলের ভিতরে ছিলেন শিশু রিজভী,হঠাৎ তার চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে আগুনে লিলেহান শিখায় ঝাঁপিয়ে পড়েন দোকানের মালিক আকতার হোসেন এসময় অগ্নিদগ্ধে গুরুত্বর আহত হয় দুইজনে।
স্থানিয় লোকজন ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মীদের সহযোগীতা দুইজনকে উদ্ধ্যার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রামে মেডিকেল কলেজে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে তাদের দুইজনের অবস্থা অবনতি দেখা গেলে ঢাকা মেডিকেল বার্ন উইনিটি হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ও শেষ রক্ষা হয়নি রিজভীর ও আকতার হোসেনের।পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শনিবার সকাল সাড়ে১০টা সময়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান রিজভী,নিহত রিভজি মোহাজের পাড়া এলাকার জাসদ নেতা নুর মোহাম্মদের পূত্র ও কক্সবাজার কেজি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বলে তার পরিবারের সুত্রে জানা যায়।
দীর্ঘ দিন দিন চিকিৎসা ও মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শেষমেষ হেরে গেলেন দোকানের মালিক মোহাজের পাড়া এলাকার সমবায় সমিতির প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন। ১৬জানুয়ারী রাত সাড়ে ১০সময়ে ঢাকা বার্ন ইউনিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ১০নং ওয়ার্ডের প্রবীন মুরুব্বী রুহুল কুদ্দুস জানান,গত ৩১ ডিসেম্বর মোহাজের পাড়ার এলাকার সমবায় সমিতি পরিচালিত একটি নাস্তার দোকানে আকস্মিক সিলিণ্ডার বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে মারাত্মকভাবে অগিদগ্ধ হয় রিজভী ও দোকান মালিক আকতার হোসেন। নয় বছরের শিশু রিজভীকে উদ্ধার করতে গিয়ে দোকানে মালিক আক্তার হোসেন গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয় প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজভী এবং দোকান মালিক আকতার হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহতের মৃতদেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রয়েছেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।