ঢাকাসোমবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

সহিংসতা রোধে নারীর প্রতিবাদ অত্যাবশ্যক

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

——————
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন ও নির্যাতন পরবর্তী হত্যার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ খুব একটা জোড়ালো নয়। কেন যেন আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে অদৃশ্য এক বাধা অনুভব করি। আমাদের দেশের শ্লীলতাহানির অনেক অভিযান আইনের দরজা পর্যন্তও পৌঁছায় না। সুষ্ঠ বিচার তো সুদূর পরাহত।
বাংলাদেশের তরুণীরা বিশেষ করে যারা গ্রামে বাস করে তারঅ ভাবেন, যদি তাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ থানা পর্যন্ত পৌঁছায় তবে তা স্বভাবতই তদন্ত হবে। এক পর্যায়ে গ্রামের সবাই বিষয়টি জেনে যাবে। লোকে ছি ছি করবে। নিজের ও পরিবারের পক্ষে সমাজে চলা দায় হয়ে পড়বে। এসব নানান ভাবনার ফলে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েও অনেক তরুণী থানায় অভিযোগ করেন না। আবার অনেকে পরিবার ও নিজের সম্মান বাঁচাতে আত্মহত্যাকেই একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেয়। এমন ঘটনাও একেবারে কম নয়।

গত কয়েক বছরের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এধরনের অপরাধের পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বা ব্যাবসায়ীর বখাটে ছেলেরা জড়িত। যার ফলে শুধু শ্লীলতাহানি কিংবা ধর্ষণই নয় বরং ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও অপরাধীরা অনেক ক্ষেত্রেই আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আবার প্রথম দিকে মামলা করা হলেও একপর্যায়ে প্রভাবশালীরা চাপ ও ভীতি প্রদর্শন করে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে। তখন আইনের আর কিছুই করার থাকে না।
এছাড়া ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন অপরাধ দমনের আরো একটি বড়ো বাধা হলো বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রতা। দেখা যায়, বিচার ব্যাবস্থার ঢিলেমি এবং বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রতার সুযোগ নিয়ে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে আসামী অভিযোগকরী তরুণীকে আরো বেশি উত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ন্যায় বিচারের আশা ছেড়ে দেয়। কেননা বছরের পর বছর চলে যায় এ মামলাগুলোর বিচার কার্য শেষ হতে।
ইতিপূর্বে আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এমন খবরও দেখেছি যে, ধর্ষণের পর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে সেখানেও লাঞ্ছিত হয়েছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। এটা খুবই দুঃখজনক। আইন ও প্রশাসনের অসহযোগীতা যে কোন অপরাধ বিস্তারে অনেকাংশেই দায়ী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিচার কার্যের দীর্ঘসূত্রতা লোপ করে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের মাধ্যমে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা গেলে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এছাড়া ইভটিজিং ও যৌন নির্যাতন রোধে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষককে প্রধান করে ইভটিজিং ও যৌন নির্যাতনের দমন সেল গঠন করতে হবে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবার প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এসময় তাদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করা জরুরী। এতে তারা মানসিক আঘাত সামলে উঠতে পারবে।
বাংলাদেশ সরকার নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন রোধে বেশ কিছু ব্যাবস্থা নিয়েছে। সরকার এধরনের অপরাধ দমনের লক্ষে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার চালু করেছে। যেখানে ১০৯ নম্বরে ডায়াল করে যে কোন সময় সহায়তা পাওয়া যাবে। আর এই সেবাটি সম্পূর্ণ ফ্রী। এছাড়া ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্পলাইন ৯৯৯ তো রয়েছেই। এখান থেকেও সার্বক্ষণিক যেকোন পুলিশী সেবা পাওয়া যাবে।
সর্বোপরি, নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন রোধে প্রত্যেকটা পরিবারে শিশুদেরকে যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতন ও সোচ্চার করে গড়ে তুলতে হবে।

সিয়াম আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

267 Views

আরও পড়ুন

নার্সিং শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিস্ট বলা মূর্খতা 

নব প্রতিষ্ঠিত কাপাসিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওরিয়েন্টেশন

কানাডার জীবন: নেতিবাচক দিক

রাঙ্গুনিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ কর্মসূচি সম্পন্ন

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সিএনজি অটোরিকসা ও পিক-আপ’র মুখোমুখী সংঘর্ষে নারীসহ নিহত-৬

ইতিহাস প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র
এইচএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ২০২৫

বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযানের অস্ত্রসজ্জিত আটক ৪ জন

গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তের চুরিকাঘাতে অটোবাইক চালক নিহত

কমলগঞ্জে ভানুগাছ বাজারে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ

রাঙ্গুনিয়ায় গনমানুষের হৃদয়ে নতুন আস্থা জামায়াতে ইসলামী

বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড না করার দাবিতে আবারও উত্তাল সাঁওতালরা

চট্টগ্রামে অরক্ষিত খাল-নালায় আর কত অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হুঁশ আসবে!