সাত্তার সিকদার, নিজস্ব প্রতিনিধি চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজান ইউনিয়নের আদারচর (৯নং ওয়ার্ড) গ্রামের দিনমজুর হতদরিদ্র জামাল উদ্দীন (৩৬)। ৪কাঠার ভিটায় টিনের ছাউনিযুক্ত ছোট মাটির ঘরে কষ্টে দিন কাটে দিনমজুর জামাল উদ্দীন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। বৃষ্টি এলে ফুটো ছাদ দিয়ে পানি পড়ত।
১৬ নভেম্বর (সোমবার)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটির দেয়াল ভেঙ্গে চোট্ট কুঠিরটি যেন নুয়ে পড়েছে। প্রতিবেদককে দেখে অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে কানে কমশুনা জামাল উদ্দীন। এসময় তার স্ত্রী কাওছার আক্তার (৩২) জানান, তার স্বামী হতদরিদ্র দিনমজুর জামাল উদ্দীন লোকজনের ক্ষেতখামারে কাজ করে যা পাই তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। তাদের থাকার ঘরটি যেকোন মূহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে এই ভয়ে রাতে ঘুমাননা তিনি। ঘর ভাঙ্গার ও সাপের ভয়ে রাতে মশারীর ভিতর দিনমজুর স্বামী ও ছোট্ট মেয়েটি ঘুমালেও তিনি জেগে থাকেন। তাদের সংসারে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতায় ৩ ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছে।
ছেলে নওশাদ জামান তানভীর (১৬) (দাখিল এ প্লাস প্রাপ্ত) একটি মাদ্রাসায় আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র। সৌরভ হাসান আইমন(১৩) (এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত) ও ইফতেখারুজ্জামান হৃদয়(১০) হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন। ছোট্ট মেয়ে ফাতেমা জান্নাত (২.৫) মা-বাবার সাথেই থাকেন। তিনি আরো বলেন, ৩ ছেলে বাড়ির আসলে থাকার জায়গা থাকেনা। তাদের মাথা গুঁজার ঠাঁই হওয়ার জন্য একটি ঘর খুবই প্রয়োজন। এমতাবস্থায় স্হানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব জিতুর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জীর্ণ বাড়িতে থাকার দিন একদিন অতীত হবে। তাঁর নিজের এক চিলতে জমিতে বাড়ি করে দিবে সরকারের বরাদ্ধ থেকে। এমনটি প্রত্যাশা স্থানীয়দের।