ঢাকারবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সন্তান হারানো অশ্রুসিক্ত মায়ের আহাজারী!!

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৪ জানুয়ারি ২০২১, ৩:১৬ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

—————————
অকালে ঝরে গেল একটি তরুণ তাজা প্রাণ। পৃথিবীর মায়া হয়তো তাকে আটকে রাখতে পারেনি। রাতের আধাঁরে নিজ কক্ষে রহস্যজনক হত্যার স্বীকার হয়ে প্রাণ গেল ছেলেটির। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় জীবন বাঁচানোর তাগিদে একটি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করত। সেটা ছিল তার উপার্জনশীল কর্মের দায়িত্ব। সহকর্মীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরতে পারেনি। জঘন্যতম হত্যার জন্য কে দায়ী তাহা খুঁজে বের করা এখন চ্যালেঞ্জ।

তবে বিগত দিনের বিভিন্ন ঘটনার অভিজ্ঞতার আলেোকে বলা যায়, আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কেউ রেহাই পায়নি। যদি হত্যাই তাহার মৃত্যু ঘটে, হত্যাকারীর অপরাধের বিচার না হয় তাহলে তাহার অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে। সে নিজেকে স্বাচ্ছন্দ ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি মনে করে আরো উৎসাহিত হবে। আমরাও মানবতার বিচারে মহান স্রষ্টার কাছে অমানবিকতার সামিল হব।

সান্তনার বশে পল্টু হত্যার বিচার পাব কিন্তু পল্টুকে তো আর পাওয়া যাবে না। এটা শুধু ক্ষণিকের জন্য আত্মার শান্তি মাত্র। এখন অসহায়,হতদরিদ্র এই পরিবারের অবস্হা কি হবে? সে তো ছিল ঐ পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। বাবা হারানো সংসারে তার আয়ের উপর নির্ভর করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের দু,বেলা খাবার জুটত। এখন তাদের দিকে তাকাবে কে? সমাজ, দেশ, প্রতিবেশী তো কিছুদিনের জন্য পাশে দাড়াবে,সুখে-দুঃখে সান্তনা দেবে, আবেগের কন্ঠে দুটি কথা পরামর্শ দেবে কিন্তু মা ও পরিবারের সদস্যরা অশ্রুসিক্ত থাকবে সারাটি জীবন।

অভাবের সংসারে চাহিদার কষ্টগুলো যখন দেয়ালে পিঠ চাপা দিবে ঠিক সেই মুহুর্তে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে অজানা হৃদয়ের বাঁধন। নির্মম ও নিষ্টুরতার সমাজে বাঁচার অধিকার হয়তো সে পায়নি। পাষন্ড, নরপশুদের অত্যাচারে একাকিত্ব হাহাকারে প্রাণ দিতে হলো তাহাকে।

হয়তো বাচার জন্য প্রাণ ভিক্ষা চেয়েও রেহাই পায়নি। শেষ বিদায়ের ক্রান্তিলগ্নে কাউকে কিছু বলার সুযোগ পায়নি। আত্মা সাক্ষী দিচ্ছে, নিষ্টুর সমাজের পাষন্ড কুকুরদের আঘাতে হত্যার কথা কিন্তু তা আমরা শুনতে পারিনি।

গর্ভধারিনী মায়ের হাতে চোখের অন্তরালে সন্তানের শেষ বিদায় সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সারা জীবেনর জন্য অশ্রুঝড়ানো কান্না আর প্রতিটি প্রহরে আৎকে উঠা হৃদয়ের বেদনা। লোক সান্তনায় কিছুটা হালকা হলেও তা স্বল্প স্হির মাত্র।

গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে চোখের সামনে ভেসে উঠবে বা-চা তুমি কোথায় আছ? তুমি আমাকে না বলে চলে গেলে,তুমি আমাকে ছেড়ে কেন চলে গেলে। আমার সাথে রাগ করেছ। অভিমানী ছেলে, আমি তো তোমার মা,আমার সাথে তুমি রাগ করছ কেন? তুমি চলে আসো মায়ের কোলে। আমি তেমার পন্থ চেয়ে আছি। হঠাৎ এমন আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীদেরও ঘুম ভাঙ্গে। কাছে এসে পাশে বসে সান্তনার বাণীগুলো বলতে বলতে সবাই চলে যাবে নিজ নিজ গৃহে। দুঃখিনী মা ঢুকতে ঢুকতে ক্লান্ত হয়ে আবারো ঘুমিয়ে পড়বে অগোছানো বিছানায়। নিজের অজান্তে চোখের জলে তুলোর বালিশ ভিজে যাবে হয়তো সেদিকে খেয়াল থাকবে না। ভোর না হতেই ঘুম থেকে উঠে বের হবে খাবারের সন্ধানে।

ধীরগতিতে ক্লান্ত শরীরে পা বাড়ানো হতভাগা এক দুঃখিনী মা। পৃথিবীতে আর কেউ যদি স্মরণ নাও করে কিন্তু মায়ের হৃদয় কখনও ভুলতে পারে না সন্তানের কষ্টের কথা। দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে আকাশ চোয়া কষ্টের খানিকতা পেরিয়ে পৃথিবীতে আগমণ ঘটে সোনামনির। দিনে কচিসোনামনির কান্নার সান্তনার গান শুনাতে শুনাতে চলে আসে রাত জাগা প্রতিটি মুহুর্ত। শীতের রাতে গায়ের কাপড় দিয়ে আগলে রেখে ও কোলে করে সারা রাত প্রহর গুনতে গুনতে বেড়ে উঠা কিশোর ছেলেটির কথা মা ভুলবে কেমন করে। খোকা বড় হয়েছে মায়ের মনের সেই স্বস্হির বাণী নিঃসঙ্গতায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত হয়ে গেল। অপলক দৃষ্টিতে মা ও স্বজনদের বুকফাঁটা কান্না প্রতিবেশী,সহপাঠি ও শুভাকাঙ্খীদের মর্মাহত করেছে।

তাইতো পাষন্ডগুলোকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে এভাবে শাস্তি প্রদান করা উচিত। যা দেখে এমন অপরাধের প্রবণতা আর না বাড়ে। জিজ্ঞেস করা উচিত, কি অপরাধ ছিল তার। কেন তাহাকে হত্যা করা হলো? কেমন স্বার্থে আঘাত পড়েছিল নাকি ব্যাংক ডাকাতি করে রাতারাতি বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল তারা। কেন অন্যের জীবণ হরণ করে নিজে পাপের বোঝা বহন করতে সম্মত হলো।

মানুষ মরণশীল। প্রত্যেক মানুষকে একদিন নিয়তির ডাকে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। কেউ দু’দিন আগে আর কেউ দু”দিন পরে। কোন মানুষই অমর নয়। অমরত্ব ও তার আত্মা বেঁচে থাকে তার কর্মে। সেটা স্বভাবিক কিংবা রোগাক্রান্ত হয়ে কিংবা দুর্ঘটনার নির্মম ছায়াতলে। সেটা মেনে নেওয়া যায় কিন্তু পাষন্তের নির্মম অত্যাচারে সুন্দর পৃথিবীতে অমানবিকতার রোষানলে জীবন হারানোর মৃত্যুর শ্লোগান মানুষকে বিচলিত করে। নিঃস্তব্দ আর্তনাদ আর সহপাঠিদের অকৃত্রিম ভালবাসা পল্টুকে সর্গবাসী করুক। “হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ” সুনামগঞ্জ জেলা পরিবারের পক্ষ হইতে তাহার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখক : আবু সঈদ, স্টাফ রিপোর্টার(সিলেট)
নিউজ ভিশন

167 Views

আরও পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষা যেনো সড়কে গড়াগড়ির কান্নায় স্বপ্ন হয়ে রয়ে গেল!

কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ ৪১.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, তীব্র পানি সংকট

নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন পরিক্রমা...
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সাংসদ ইবরাহীমের বিরুদ্ধে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় প্রথম ফার্মা সামিট’২৪ অনুষ্ঠিত

ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি : কোনও রান না দিয়েই ৭ উইকেট

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

এশিয়া এখন জ্বলন্ত উনুন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ

কাটা হবে ৩ হাজার গাছ, বন বিভাগ বলছে ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই’

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি !! 

শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি ॥ দেবশীষ- সভাপতি, মেরাজ সা: সম্পাদক

রাজশাহীতে বিএসটিআই’র অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা।