ঢাকারবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  1. সর্বশেষ

বছরের বিদায় ও আগমনে কিছু কথা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ

Link Copied!

দিন যায় রাত আসে, রাত যায় দিন আসে। সময়ের এই পরিক্রমায় কখনো শীতের বিদায়, গরমের আগমন। আবার শীতের আগমন, গরমের বিদায়। তারই ধারাবাহিকতায় এখন চলতি বছরের বিদায়, নতুন বছরের আগমন। যাকে ইংরেজিতে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলা হয়।আর এই নতুন বছরকে উৎযাপন করার জন্য আমাদের দেশসহ অন্যান্য দেশসমূহে “থার্টি ফাস্ট নাইট” পালন করা হয়। যেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে গোলা-বারুদ, ফটকা ও আতশবাজি ফাটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে অনেকেই। রাত 12:00 টায় শহরের অলিতে গলিতে শুধু এই আওয়াজই শোনা যায়। এছাড়াও এই নতুন বছরকে সামনে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির আয়োজনও করা হয়। যা অনেক জমজমাট পূর্ণ হয়।

এই হলো চলতি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে অভিবাদন জানানোর পদ্ধতি। কিন্তু আজ থেকে কিছুকাল অতীতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। ঐ সময়েও বিগত বছর ও নতুন বছরের আগমন ঘটতো। কিন্তু বর্তমান সময়ের মত এত বাড়াবাড়ি, হৈ-হুল্লোড়, গান-বাজনা ও আতশবাজির মাধ্যমে চলতি বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে অভিনন্দন জানানো হতো না। তখন কি হতো, তখন রাতের আঁধারে আল্লাহর দরবারে বিগত বছরে যে ভুল-ভ্রান্তি সংঘটিত হয়েছে তার জন্য কান্নাকাটি ও রোনাজারি করার মাধ্যমে অতিবাহিত করতো। আর নতুন বছরে যেন বিগত বছরের সেই গুনাহ সমূহ থেকে বিরত থাকতে পারে সেই তাওফীকের দোয়া করতো।

আর বর্তমান যেহেতু সারা বিশ্বে নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সময় অতিক্রম করছে। যার ভয়াবহতা থেকে আমাদের এই দেশটিও রেহাই পায়নি। যে কারণে দীর্ঘদিন আমাদের দেশও লকডাউনের মধ্যে ছিল। আর এজন্যই আমাদের দেশের সচেতন প্রশাসনের কর্মকর্তাগন বলেছেন, “এবছর ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার/থার্টি ফাস্ট নাইট’ কে উপলক্ষ্য করে যে কোনো প্রকার হৈ-হুল্লোড়, আতশবাজি ও অনুষ্ঠানাদি করা নিষিদ্ধ। আপাতত এ বছর করা যাবে না। ”

আর কথা স্পষ্ট যে, বর্তমান বর্ষবরণ তথা; ‘থার্টি ফাস্ট নাইট” নামে সমাজে যে অশ্লীলতা বেহায়াপনা এবং নগ্নতার উন্মুক্ত প্রদর্শন চলে। তা একজন বিবেক সম্পন্ন সভ্য রুচিশীল মানুষের জন্য পালন করা শোভা পায় না।
তাছাড়া এটা তো একটি বিজাতীয় উৎসব। এখানে অংশ গ্রহণ করা একজন মুসলমানের জন্য কখনোই জায়েয নাই। কারণ নবীজী সাঃ ইরশাদ করেছেন,
“যে ব্যক্তি অন্য কোন জাতির আচার-আচরণে,কৃষ্টিকালচারে সামন্জস্যতা অবলম্বন করবে,সে তাদের দলভুক্ত বলে বিবেচিত হবে” অতএব,বর্ষবরণ তথা থার্টি ফাস্ট নাইট”পালন করা জায়েয নেই। বরং হারাম।

আর বছরের সূচনালগ্নে একজন মুসলমানের অনুভূতি এই হওয়া দরকার যে,বিগত বছরে যে দিনগুলো অতিবাহিত হয়ে গেল। তা আমার জীবনেরই মূল্যবান একটি অংশ। একটি বছরের সমাপ্তি হয়ে গেল মানে আমার জীবন থেকে একটি বছর কমে গেল। আর আমার জীবনের সময় সংকীর্ণ হয়ে এলো। মনে রাখা উচিত; এটা কখনোই আনন্দের সংবাদ নয়,বরং চিন্তার ব্যাপার। আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠার সময় নয়,বরং হিসাব নিকাশের সময়। হারানোর সময়ের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার সময়।

সুতরাং আমরা নিজেরা সচেতন হই, এবং অন্যকে সচেতন করি। আর চলতি বছরের বিদায়, নতুন বছরের আগমনকে স্বাগত জানাতে ও উদযাপন করতে কোন প্রকার গুনাহে লিপ্ত না হই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করেন। আমিন।

মোঃ হুসাইন আহমদ
শিক্ষার্থী, তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রী)
দারুস-সুন্নাহ, টাংগাইল।

81 Views

আরও পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষা যেনো সড়কে গড়াগড়ির কান্নায় স্বপ্ন হয়ে রয়ে গেল!

কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ ৪১.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, তীব্র পানি সংকট

নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন পরিক্রমা...
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সাংসদ ইবরাহীমের বিরুদ্ধে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় প্রথম ফার্মা সামিট’২৪ অনুষ্ঠিত

ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি : কোনও রান না দিয়েই ৭ উইকেট

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

এশিয়া এখন জ্বলন্ত উনুন চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ

কাটা হবে ৩ হাজার গাছ, বন বিভাগ বলছে ‘গাছ রক্ষার কোনো সুযোগ নাই’

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি !! 

শেরপুর প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি ॥ দেবশীষ- সভাপতি, মেরাজ সা: সম্পাদক

রাজশাহীতে বিএসটিআই’র অভিযানে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা।