পথে-ঘাটে বা রাস্তায় বেড়ে ওঠে শিশুদেরই পথ শিশু বলে অভিহিত করা হয়। শিশুদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে এই কচি, কোমল মুখগুলো পরিচিত হয় নতুন অনেক অভিজ্ঞতার সঙ্গে। কাজ দিয়েই তারা আলাদাভাবে বিবেচিত হয়, শিশু হিসেবে নয়। তাই তাদের মধ্যেই কেউ হয় টোকাই, কেউ হয় ফুল বিক্রেতা, আবার কেউ হয় পানিওয়ালা। সারা বছরই যেন তাদের জন্য রমজান মাস পালিত হয়, তাই নতুন করে সাধারণ শিশুদের মতো রমজান মাসে তাদের আনন্দ অনুভুত হয় না, সৃষ্টি হয় না চাঞ্চল্যকর পরিবেশ। সেহরি ও ইফতার নিয়ে থাকে না কোন আবদার, না কোন বায়না বরং তাদের দুঃখ টাই হয় বেশি। কেননা রমজান মাসে অলিতে -গলিতে বসে হরেক রকমের ইফতারের দোকান। সেখানে থাকে আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজু, জিলিপি, ইত্যাদি নানা ধরনের সব খাবার। তারা দূর থেকে দেখে। তাদের ছলছল চাহনি বলতে থাকে এসব আমাদের জন্য নয়। এইতো একমাত্র সান্তনা তাদের । সাধারণ শিশুরা পাঞ্জাবি পড়ে, গায়ে আতর মেখে, মাথায় টুপি দিয়ে তাদের বাবার সাথে মসজিদে যায়। তারা দূর থেকেই দেখে এই আরম্ভরতা এবং প্রকাশ করে তাদের উপর জীবনের তাচ্ছিল্যকর হাসি, এ যেন তাদের জন্য বিলাসিতা। আজকাল তাদের জন্য আয়োজিত হচ্ছে ইফতারি, ব্যবস্থা হচ্ছে পাঞ্জাবির। তাদেরকে রমজানের এই একটুখানি আনন্দ অনুভুতি দেওয়ার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগামী কিছু শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতে পথ শিশুরাও পেল কিছুটা আনন্দ অনুভূতির ভাগ।
তানজিলা আক্তার
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা