ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

শুধু গরমে গাছের গুরুত্ব নয়, গাছ লাগাতে হবে সারাবছর

প্রতিবেদক
আবু সুফিয়ান সরকার শুভ
১ মে ২০২৪, ৬:৫০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আশিক আহমেদ

গ্রীষ্মকাল মানে চারদিকে প্রচন্ড রোদ আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মকালের চিত্র বেশ আলাদা। বৃষ্টি একদমই নেই ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে পরিবেশ অস্বাভাবিক হয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় জনজীবন অস্বস্তিতে পরিনত হয়েছে।

এই ভয়াবহ আবহাওয়া থেকে রেহাই পেতে শুরু হয়েছে চারদিকে গাছ লাগানোর ধুম। গাছ লাগালে পরিবেশ হবে সবুজে সমাহার। জলবায়ু হবে স্বাভাবিক। এজন্য বাড়াতে হবে জনসচেতনতা। আমরা যখন যে পরিবেশে থাকি তখন শুধু সেই পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করি। যেমন অসহ্য গরম থেকে বাঁচতে আমরা গাছ লাগানোর প্রয়োজন বলে মনে করছি।  ঠিক তেমনি বর্ষাকাল, বসন্তকাল বা হেমন্তকালে যখন পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে তখন আর গাছ লাগানোর বিষয়ে চিন্তা থাকবে না।

আমরা যদি সারা বছর বা গাছ লাগানোর উপযোগী কিছু সময় আছে সেই সময়ে গাছ লাগাই তাহলে গরমকালে এসে গাছ লাগানোর কথা ভাবতে হবে না। তাছাড়া এই গরমকালে গাছ লাগিয়ে  পর্যাপ্ত পরিচর্যা না করলে গাছ বাঁচানো খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের বারো মাস কিছু না কিছু গাছ লাগাতে হবে। যেমন আমাদের প্রয়োজনীয় কাঠ বা জ্বালানির চাহিদার জন্য একটি বড় গাছ কাটলে সেই জায়গার পরিমানের উপর ভিত্তি করে আমরা যদি কয়েকটি চারা গাছ লাগাই। তাহলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমাদের জনসচেতনতার উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অকারনে গাছ না কেটে, আমাদের চারপাশের খালি জায়গা গুলোতে আরও গাছ লাগাই তাহলে প্রাকৃতিক  ভারসাম্য বজায় থাকবে। এখন প্রশ্ন হল পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমরা কোন কোন গাছ লাগাতে পারি। আমাদের পরিবেশকে সুন্দর ও মনোরম করে তুলতে আমরা সব ধরনের গাছ লাগাতে পারি। যেমন ফলগাছ, কাঠ, জ্বালানি ও ফুল গাছ – আম, কাঁঠাল, লিচু, আতা, চালতা, মাল্টা, লেবু, জামরুল, জাম, মেহগনি, বটগাছ, এন্ট্রি, সোনালি, সেগুন, জবা, কদম, শিমুল, পলাশগাছ ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারি। ফলের চাহিদা, কাঠের চাহিদা, জ্বালানির চাহিদা পূরনের সাথে আমাদের পরিবেশে সুন্দর হবে। শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে মনোরম রাখতে পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। বনজঙ্গল উজার করা, আবাদি জমি নষ্ট করা, নদী ভরাট করা, মাটি দূষণ ও বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ। জলবায়ুর এরূপ পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি – অনাবৃষ্টি হচ্ছে।

পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। পরিবেশের এ পরিবর্তন প্রতিরোধ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায়, এবং যার যেখানে সুযোগ আছে সেখানেই বেশি বেশি গাছ লাগতে ও অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করতে হবে। সবার মাঝে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও জনসচেতনতাই পারবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা ও সুন্দর মনোরম পরিবেশ তৈরী করতে।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের, ঢাকা
260 Views

আরও পড়ুন

সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় লোহাগাড়ায় সাংবাদিক সমাজের মানববন্ধন

সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শান্তিগঞ্জে সেমিনার

শান্তিগঞ্জে জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ 

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও দেশ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি–অধ্যাপক মুজিব

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের মতবিনিময় সভায় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান 

চট্টগ্রামে জামায়াত নেতার পায়ের রগ কেটে হাত ভেঙে দিয়েছে চাঁদাবাজরা

ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বরিশাল মহানগর ছাত্রদল সহ-সভাপতি রাসেল আকন আটক

শান্তিগঞ্জে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষক দিয়ে পিআইসি কমিটি গঠনের অভিযোগ 

সংবর্ধিত হলেন সেরা কনটেন্ট নির্মাতা শিক্ষক ফারুক ইসলাম

নাগেশ্বরীতে কেন্দ্রীয় ড্যাব নেতার ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

বুটেক্সে নতুন বিভাগ চালু- সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ

এক বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কা পটিয়ায় বৃদ্ধ নিহত