ঢাকারবিবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

শুধু গরমে গাছের গুরুত্ব নয়, গাছ লাগাতে হবে সারাবছর

প্রতিবেদক
আবু সুফিয়ান সরকার শুভ
১ মে ২০২৪, ৬:৫০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আশিক আহমেদ

গ্রীষ্মকাল মানে চারদিকে প্রচন্ড রোদ আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মকালের চিত্র বেশ আলাদা। বৃষ্টি একদমই নেই ফলে তাপমাত্রার পরিমাণ বেড়ে পরিবেশ অস্বাভাবিক হয়েছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় জনজীবন অস্বস্তিতে পরিনত হয়েছে।

এই ভয়াবহ আবহাওয়া থেকে রেহাই পেতে শুরু হয়েছে চারদিকে গাছ লাগানোর ধুম। গাছ লাগালে পরিবেশ হবে সবুজে সমাহার। জলবায়ু হবে স্বাভাবিক। এজন্য বাড়াতে হবে জনসচেতনতা। আমরা যখন যে পরিবেশে থাকি তখন শুধু সেই পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করি। যেমন অসহ্য গরম থেকে বাঁচতে আমরা গাছ লাগানোর প্রয়োজন বলে মনে করছি।  ঠিক তেমনি বর্ষাকাল, বসন্তকাল বা হেমন্তকালে যখন পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে তখন আর গাছ লাগানোর বিষয়ে চিন্তা থাকবে না।

আমরা যদি সারা বছর বা গাছ লাগানোর উপযোগী কিছু সময় আছে সেই সময়ে গাছ লাগাই তাহলে গরমকালে এসে গাছ লাগানোর কথা ভাবতে হবে না। তাছাড়া এই গরমকালে গাছ লাগিয়ে  পর্যাপ্ত পরিচর্যা না করলে গাছ বাঁচানো খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের বারো মাস কিছু না কিছু গাছ লাগাতে হবে। যেমন আমাদের প্রয়োজনীয় কাঠ বা জ্বালানির চাহিদার জন্য একটি বড় গাছ কাটলে সেই জায়গার পরিমানের উপর ভিত্তি করে আমরা যদি কয়েকটি চারা গাছ লাগাই। তাহলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমাদের জনসচেতনতার উপর আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। অকারনে গাছ না কেটে, আমাদের চারপাশের খালি জায়গা গুলোতে আরও গাছ লাগাই তাহলে প্রাকৃতিক  ভারসাম্য বজায় থাকবে। এখন প্রশ্ন হল পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমরা কোন কোন গাছ লাগাতে পারি। আমাদের পরিবেশকে সুন্দর ও মনোরম করে তুলতে আমরা সব ধরনের গাছ লাগাতে পারি। যেমন ফলগাছ, কাঠ, জ্বালানি ও ফুল গাছ – আম, কাঁঠাল, লিচু, আতা, চালতা, মাল্টা, লেবু, জামরুল, জাম, মেহগনি, বটগাছ, এন্ট্রি, সোনালি, সেগুন, জবা, কদম, শিমুল, পলাশগাছ ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারি। ফলের চাহিদা, কাঠের চাহিদা, জ্বালানির চাহিদা পূরনের সাথে আমাদের পরিবেশে সুন্দর হবে। শুধু গাছ নয়, পরিবেশকে মনোরম রাখতে পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে। বনজঙ্গল উজার করা, আবাদি জমি নষ্ট করা, নদী ভরাট করা, মাটি দূষণ ও বায়ু দূষণের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ। জলবায়ুর এরূপ পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি – অনাবৃষ্টি হচ্ছে।

পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। পরিবেশের এ পরিবর্তন প্রতিরোধ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ এলাকায়, এবং যার যেখানে সুযোগ আছে সেখানেই বেশি বেশি গাছ লাগতে ও অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করতে হবে। সবার মাঝে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ও জনসচেতনতাই পারবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা ও সুন্দর মনোরম পরিবেশ তৈরী করতে।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের, ঢাকা
233 Views

আরও পড়ুন

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা, সাইনবোর্ড শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সাইফুল ইসলামের কবিতা : শীতের আমেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ

পাবনার হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : নিহত ১

কাপাসিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন

কাপাসিয়ায় ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন

কক্সবাজারের ঈদগাহতে ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

জবিস্থ শরীয়তপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সৌরভ – মনির

কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের কারা নির্যাতিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনকে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা

দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে জাতীয় ঐক্যমত্যের বিকল্প নেই–মিয়া গোলাম পরওয়ার