আজ থেকে ১২ বছর আগে ২০১০ সালে বিএমইটি পরীক্ষায় ৫ম শ্রেণীতে ১ম হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।আমার বড় ভাই আহমেদ মোবারক ও ঐ একই বছরে দশম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন।
আমার বাড়ী কোনাগাঁও হলেও আমার বেড়ে ওঠা আমার নানার বাড়ি গোলের হাওরে। তাই আমার পড়ালেখার হাতেখড়ি আমার নানার আদরের কড়া শাসনের মধ্য দিয়েই। বিএমইটি পরীক্ষা দেওয়ার দিনটি এখনো মনে পড়ে।আমার বড় ভাই আর আমি একসাথে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম।
পরীক্ষা শেষে বড় ভাই আমাকে স্কুল গেইটের পাশে তাজমহল রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। ঐ দিন আমি জীবনে প্রথম ছমুচা খেয়েছিলাম। নামও আমার প্রথম শোনা।
তাই পরেরদিন পরীক্ষা শেষ করে আবার যেন ভাইকে বলতে পারি তাই আমি আমার প্রবেশপত্রের পিছনে ছমুচা লিখে রেখেছিলাম।পরে রেজাল্ট দেওয়ার পর পাশের বাসার এক নানীর মাধ্যমে জানতে পারি আমরা দুজনই প্রথম হয়েছি।খুশিতে ঔ দিন আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম।
পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আমার নানাজানও আমাদের সাথে অভিভাবক হিসেবে গিয়েছিলেন।ঐদিন নানাজান খুশিতে কেঁদে দিয়েছিলেন।পুরষ্কার হিসেবে একটা রঙিন খামের ভিতর ১৫০০ টাকা পেয়েছিলাম। এবারের বিএমইটি পরীক্ষায় ডিউটি করতে গিয়ে সেই সোনালী দিনে ফিরে গিয়েছিলাম।আজ নানাজান নেই! তবুও মনে পড়ে রঙিন খামে মোড়ানো সেই দিনগুলো।
বিএমইটি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্য হল ছাত্রছাত্রীরা যেন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার মাধ্যমে পরীক্ষাটাকে যেন সাফল্যমন্ডিত করে এবং পরবর্তীতে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোতে পড়ালেখা করার সুযোগ পায়।সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যানে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে। এ পরীক্ষা যেন এভাবে বজায় থাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।সেই প্রত্যাশা কামনা করি।
লেখক: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।