ঢাকাশুক্রবার , ২৭ জুনe ২০২৫
  1. সর্বশেষ

করোনা পরবর্তীকালীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে করনীয়

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

======
মানসম্মত শিক্ষা শেখ হাসিনার দীক্ষা, এই মান সম্মত শিক্ষা সবার জন্য। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় প্রতিবন্ধকতা হলো ঝড়ে পড়া। সরকারী/বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডার গার্টেন গুলোতে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৫ বছর হতে ১১ বছর পযর্ন্ত শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনা করে। শিক্ষাচক্র অনুযায়ী ধরা হয় নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শেষ না করেই, কোন শিক্ষার্থী যদি বিদ্যালয় ত্যাগ করে তখন তাকে ঝড়ে পড়া বলে। এই ঝরে পড়ার সঙ্গে অনেক কারণ রয়েছে।
কারনগুলোর মধ্যে ধরা যায়, অভিভাবকের অসচেতনতা।অভিভাবক তার ছেলে মেয়েটার দিকে যথাযথ খেয়াল রাখেন না, ফলে তারা একদিন বিদ্যালয়ে আসা- যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
দারিদ্রতা, নিম্ম আয়ের কারণে শিশুর প্রতি বাবা মায়ের যে আদর যত্ন পাওয়ার কথা ছিল তা সে পায়না। ধর্ম অন্ধতা, আমাদের সমাজে এক শ্রেণির লোক আছে তারা মনে করে মেয়ে শিশুরা কেন লেখাপড়া করবে, ফলে তারা ২/৩ বছর পরে মেয়ে শিশুকে বাসার বাহিরে পড়াশুনার জন্য আর পাঠাতে চান না, ফলে অল্প বয়সে বাল্য বিবাহ দিয়ে থাকেন। এতে বাল্য বিবাহের হার বৃদ্ধি পায়। শিশু শ্রম, সরকারী ভাবে নিষেধ থাকলেও আমাদের সমাজের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মুনাফাা লোভীরা শিশুদেরকে কলকারখানা, বেকারী, মুদি দোকান এমন কি বাসা বাড়িতে কাজে লাগাচ্ছে। ফলে শিশু শ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঝরে পড়া রোধে স্থানীয় জনসমাজ এবং প্রশাসনের সম্পৃত্ততা জরুরি। স্থানীয়ভাবে জনসমাজে ঘোষনা আসা দরকার শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্য স্থানীয় জনসমাজ ও প্রশাসনের মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় জনসচেতনামূলক নাটিকা, জারিগান উপস্থাপন প্রয়োজন। মসজিদ মক্তবের ইমাম, মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে মুসল্লিদের মধ্যে সচেতনমূলক প্রচার করা। শিক্ষকদের মাসিক শিশু জরিপ করা। শতভাগ ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ের মোবাইল সেল গঠন করা। পরপর তিন দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে হোম ভিজিটের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া। মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ জোড়দার করা। নিয়মিত সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম ব্যবস্থা করা। কাব-স্কাউটিং কার্যক্রম, সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম করা। বিদ্যালয় আনন্দঘন পরিবশে সৃষ্টির জন্য স্টুডেন্ট কাউন্সিলের দায়িত্বের সুষমবন্ট করা। শিশুর অসদাচরন কিংবা পড়া না পরার জন্য দৈহিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান না করা। নৈতিক শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া ,পাঠদান আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ডিজিটাল কন্টেটের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া, শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া। শিক্ষক শির্ক্ষাথীর সর্ম্পক ভালো হওয়া দরকার। সর্বপরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলেই শিশুর ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব ।

লেখক: মোঃ মহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক, বাংলাহিলি ১ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাকিমপুর,

584 Views

আরও পড়ুন

চকরিয়া বদরখালীতে পুকুরে ভেসে উঠলো যুবকের মরদেহ

চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান

চট্টগ্রামে বিআইএম এ্যালুমনাই সোসাইটির নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর

এএফসি এশিয়া কাপ বাছাই পর্ব খেলতে মিয়ানমারে নারী ফুটবল দল সাথে ২৪ এর আত্মবিশ্বাস

বিচারপতি সিনহাকে তাড়ানোর সেই ঘটনা আপিল বিভাগে তুলে ধরলেন শিশির মনির

বেঁচে থাকলে আজ ওরা পরীক্ষা দিত

আমিরাতে ৫ জুলাই রাতে পালিত হবে পবিত্র আশুরা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান।

টমটম চালকের হাতে খুন

কাপাসিয়ায় পারিবারিক বিরোধে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচি খুন

কাপাসিয়ায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, ৩ দিনে শনাক্ত ১০ জন

এইচ এস সি–আলিম সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য শিবিরের দোয়া অনুষ্ঠান

স্বর্ণ-রূপার সুতোয় বোনা কোরআনের আয়াতে কাবার নতুন গিলাফ