নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড দিগরপান খালী গ্রামের মোঃ হাসেম সওদাগরের মালিকানাধীন উপজেলার সীমান্তবর্তী ইয়াংছা মৌজায় ৪০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ফলজ বাগান। এলাকায় হাতির বিচরণর বেড়ে যাওয়ায় ফলজ বাগান রক্ষার্থে পুরো বাগান জুড়ে এলুমিনিয়াম তার দিয়ে ঘিরে তৈরি করেছে বৈদ্যুতিক ফাঁদ যেটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সেই বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে খড় কাটতে যাওয়া বাহাদুর আলম (৪৪) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফাঁসিয়াখালির ৮নং ওয়ার্ডের খিলকাটা এলাকার মো: হাসেম সওদাগরের বাগান বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যু হওয়া বাহাদুর আলম চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের ঘুনিয়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় লামা থানায় অবহেলা জনিত কারনে এবং হুমকী প্রদর্শনে বাহাদুল আলমের স্ত্রী সেতারা বেগম বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালির দিগর পানখালি এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে মো: হাসেম এবং তার ছেলে মো: আজম এবং ভাই জকরিয়া। তাছাড়াও চকরিয়ার ফাাঁসিয়াখালির দক্ষিন ঘুনিয়া এলাকার নজির আহমদ ফকিরের ছেলে আবুল কালাম এবং তার দুই ছেলে বাবুল ও আশরাফ আলীকেও আসামী করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লামার ফাঁসিয়াখালি এলাকায় হাতির তান্ডব বেড়ে যায়। হাতির বিচরণ থেকে ফলজ বাগান বাঁচাতে বাগানের মালিক মো: হাসেম গং বাগানের চারপাশে গোপনে বিদ্যুতিক তার ব্যবহার করে ফাঁদ তৈরি করে এবং যত্রযত্র তার বৈদ্যুতিক আর্থিং যুক্ত তার ফেলে রাখে। যার ফলে এই বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে খড় কাটতে যাওয়া কৃষক বাহাদুর আলমের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তুলে তার স্ত্রীসহ আত্মীয় স্বজন।
২৭ সেপ্টেম্বর বাহাদুর আলমের যখন মৃত্যু হয় তখন বাগান মালিকসহ বাগান শ্রমিকরা স্বাক্ষীদেরকেও হুমকী দমকী দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে যাতে কোন দিকে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যুর ঘটনা জানা জানি না হয় এবং স্বাক্ষীগণকে বলতে বলা হয় স্টোক করে মারা গিয়েছে।
পরে বিষয়টি ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন বুঝতে পারে এবং এলাকাবাসী ও স্বাক্ষীদের কাছ থেকে শুনে ৩ অক্টোবর রাতে মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিমের বড় ভাই আব্বাস আহমদ বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার ২দিন আগে একটি হাতিও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছিল একই জায়গায়। বাগান মালিকপক্ষ বিদ্যুতিক সুইস বন্ধ করে দেওয়াতে কোন মতে বেঁচে যায় হাতিটি।
এ ব্যাপারে বাগানের মালিক মো: হাসেম অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন বৈদ্যুতি ফাঁদ বসায়নি আমরা। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
লামা থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ তোলা হবে।,