চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়া আন-নূর দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নাজেহাল ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাসসুম জানায়, শনিবার মাদরাসায় ক্লাস করতে যাই। ক্লাসে পাঠদানের জন্য আসেন শিক্ষক জাফর স্যার। তিনি আমাদের থেকে জানতে চান আমরা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছি কিনা? উত্তরে আমি বলি “স্যার আমি এক গরীব ঘরের মেয়ে, এখনো ভর্তির টাকা যোগাড় করতে পারিনি”। এ কথা শোনার সাথে সাথে ওনি ক্ষিপ্ত হয়ে কর্কট ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, টাকা না থাকলে রাস্তায় থালাবাসন নিয়ে ভিক্ষা করতে পারোনা? এখানে কেন এসেছো? এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি এবং অজ্ঞান হয়ে যাই। পরে আমার বান্ধবীরা আমাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
ভিকটিম তাবাসসুম আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার ক্লাস করার সময় মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলক কোচিং করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম হুজুর আমাকে চাপাচাপি করেন। আমি শিক্ষক পিতার আর্থিক দৈন্যতার কথা তুলে ধরে কোচিং না করার জন্য অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম হুজুর আমার উপর চড়াও হয়। বেত নিয়ে অবর্ণনীয়ভাবে হাতে ও পিঠে আঘাত করতে থাকেন, এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই।
আপর শিক্ষক আবদুল্লাহ বাধ্যতামূলক কোচিং করতে হবে এটা মাদরাসা সুপারের নির্দেশ বলে আমাদের ধমক দেন। বিষয়টি আমার আব্বু-আম্মুকে জানাই।
মেয়ের বাবা মাস্টার জামাল উদ্দিন জানান, মাদরাসা সুপার আবদুল হামিদ নূরীর ইন্ধনে আমার মেয়েকে অমানবিকভাবে পিটিয়েছে এবং হেনস্তা করেছে ওই শিক্ষকেরা। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রীর পিতা মাস্টার জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার সুপারসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ।
মাদ্রাসার সুপার মওলানা আবদুল হামিদ নূরী জানান, মাদ্রাসার সাবেক কয়েকজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কোন শিক্ষক কতৃক ছাত্রী যদি নাজেহাল হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত পূর্বক শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।