মোঃরায়হান আলী,(শিববগঞ্জ প্রতিনিধি) :
শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের সেরাজুল মাষ্টারের জমি লিজ নিয়ে জনপ্রিয় মাল্টা চাষের উদ্যোগ নিয়েছে এলাকার ৪ তরুন উদ্যেক্তা। তারা হল-শাহারিয়ার আহমেদ (সোহেল),ইউসুফ,আমিনুল ও বাইজিদ।
সরেজমিনে দেখা যায় যে, পারদিলালপুর গ্রামের মোঃ আতাউর রহমানএর জমি সংলগ্ন প্রায় ৬৫ শতক জমিতে ৪০০(বারি-১) মাল্টা চারা গাছ রোপনের কাজ শুরু করে । এছাড়াও সেই বাগানে মাল্টা ছাড়াও কপি,টমেটো,বরোই,পিয়ারা,পেপে ইত্যাদি, সেই জমিতে চাষ করেছে উদ্যোক্তারা। তাদের এই উদ্যোগে এলাকায়
চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে, কারণ শিবগঞ্জ উপজেলায় সম্ভবত এটিই বড় মাল্টা বাগান হতে যাচ্ছে। তারা উপজেলা কৃষি অফিসার এবং স্থানীয় কৃষি অফিসার মোঃ সোইবুর রহমান, ও স্থানীয় অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে চারা গাছ রোপন করে এবং তারা খুবই আশাবাদী যে এ মাল্টা খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি হবে। এনিয়ে মাল্টা বাগানের মালিক, শাহারিয়ার আহমেদ ( সোহেল ) বলেন,, আমাদের অনেক দিনের একটি ইচ্ছা ছিল যে এরকম একটা মাল্টা বাগান তৈরি করব এবং এটি সম্ভব হয়েছে। ইতিপূর্বে আমি মাল্টা বিষয়ের উপর একটি বিশেষ ট্রেনিং নিয়েছি। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে মাল্টা অনেকটা মিষ্টি ও খুব সুস্বাদু হবে। এবং এ থেকে আমরা কিছু আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে পারবো বলে আশা করছি। যদি মাল্টা চাষীদের কোন প্রকার পরামর্শ লাগে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি। এদিকে মোঃ বাইজিদ বলেন,, আমরা মাল্টা চাষ করে সততার সাথে এই মালটা বাজারজাত করতে চাই ফরমালিনমুক্ত মালটা আমরা বাজারে ছাড়তে চাই এবং সততাই আমাদের মূল চাবিকাঠি ।এছাড়া বেকার যুবক যারা আছেন তাদের প্রতি মাল্টা চাষের আহবান রইল এবং ছাত্র বয়স থেকে যারা লাভজনক ব্যবসা করতে আশাবাদী তাদের মাল্টা চাষের পরামর্শ আমরা দিব এবং আমরা নিজে আশাবাদী এটি একটি লাভজনক ব্যবসা এবং কেউ মাল্টা চাষ করতে চাইলে আমরা যেকোন পরামর্শ সাহায্য সহযোগিতা করব। উল্লেখ্য যে, এর আগে ও সেই জমিতে আমের গাছ ছিল কিন্তু অনেক বয়সের আম গাছ হওয়ায় সেগুলো কেটে ফেলা হয়। তারপর অনেকদিন ধরে জমিটা অকার্যকর অবস্থায় পড়েছিল। সেসময় এই নতুন ৪ যুবক মাল্টা বাগান এর করার উদ্যোগ নিলেন এবং তারা এ ও আশাবাদী যে নতুন কেউ যদি এই মাল্টা বাগান নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তাদেরকে সাথে নিয়ে মালটা বাগান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।