ঢাকামঙ্গলবার , ১ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

একজন পরিশ্রমী মেধাবীর গল্প

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১:২০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মুহাম্মদ হাসান নয়ন :

একজন পরিশ্রমী মেধাবীর গল্প বলছি– যে পরিশ্রম ও মেধার কার্যকারিতার ছাপ রেখে এসেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ।
তার নাম জান্নাতুল ফেরদাউস নওরীণ । গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় হলেও মা-বাবার চাকুরীর সুবাদে থাকতে হয়েছে শরীয়তপুর জেলায় । শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি তে গোল্ডেন এ+ পেয়ে পাড়ি জমায় ঢাকাতে । রাজধানীর নামকরা কলেজ হলি ক্রস থেকে এইচ.এস.সি. তে এ+ পেয়ে নেমে পড়ে ভর্তি যুদ্ধের প্রস্ততি গ্রহণে ।
শুরুর গল্পটা বলা চলে রাজধানীর ফার্মগেট থেকেই। মফস্বল থেকে এসে রাজধানীর সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া মেয়েটার পরিশ্রমের সুফল যেন এখন গোটা দেশকেই স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয় ।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া জান্নাতুল ফেরদাউস নওরীণ,
‌‌-যার “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল” এর “এইচ” ইউনিটে মেধাক্রম ছিলঃ ৫৩

-একি বিশ্ববিদ্যালয়ের “এ” ইউনিটে মেধাক্রমঃ ৪৩৬

-“ঢাকা ইউনিভার্সিটি” এর “এ” ইউনিটে মেধাক্রমঃ ১৫১৫

-“আই.ইউ.টি” তে মেধাক্রমঃ ৪২২

-“চুয়েট” এ মেধাক্রমঃ ৪২২

-“বুয়েট” এ মেধাক্রমঃ ৫৮২

-“মেডিকেল” এ মেধাক্রমঃ ২১৮১

জান্নাতুল ফেরদাউস নওরীণ এই.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্ভাস থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকে । ভর্তি পরীক্ষা শুরুর প্রায় দুই মাস পূর্বে নওরীণ এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্বীকার হয় । হোস্টেল থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত এক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হয় । যার ফলে তার “কলার বোন” ভেঙে যায় এবং তাকে পড়তে হয় এক অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃশ্চিন্তায় ।
হোস্টেলে থাকার কারণে প্রতিটি কাজ তাকে করতে হত ভাঙা হাত নিয়ে । ডাক্তার যেখানে তাকে ১ মাস বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সেখানে রাজধানীতে পরিবারহীন মেয়েটির কাছে সব হয়ে পড়েছিল দুর্বিসহ । তবুও নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়াই ছিল তার মূখ্য বিষয়। নওরীণের প্রত্যেকটি ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় হাতে এলবো ব্যাগ পড়ে ।
জান্নাতুল ফেরদাউস নওরীণের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “বাবা-মায়ের প্রতিটি কষ্টের মূল্য এবং নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতেই আমার এত চেষ্টা । কারণ যখন আমি মেডিকেলে চান্স পাই তখন আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল ডাক্তারী পড়ানোর । কিন্তু আমার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ারিং । চুয়েটে পড়া আমার জন্য একটু কষ্টসাধ্য ছিল এবং আই.ইউ.টি তে পড়া অনেক ব্যায়বহুল, অপরদিকে মায়ের ইচ্ছা ডাক্তারি পড়ার। এই দোটানার মাঝে মেডিকেলে ভর্তির আগের দিন আমি বুয়েটের ফলাফল পাই । বুয়েটের মেধাক্রমে আমার বাবা-মাও খুশি । দেশের স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারার সুযোগ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।”
তারসাথে কথা বলে আরো জানা যায় যে, সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এদেশেই কিছু করতে চায় এবং অবহেলিত নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে চায় এবং সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে থেকেও কাজ করতে চায় । পাশাপাশি তিনি তার শারিরীক সুস্থ্যতার জন্যও দেশবাসীর কাছে দোয়া চায়। তার ভাঙা “কলার বোন” এখন ঠিক হয়নি এবং দ্রুত ঠিক না হলে সার্জারী করার আশঙ্ক্ষাও রয়ে গেছে ।

183 Views

আরও পড়ুন

ঐতিহাসিক বটতলার হামদ নাতের আসর শেষে শিক্ষার্থীরা পেলেন বই

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাশ

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা

পটিয়ায় চাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

চকরিয়া বমুবিলছড়িতে মৎস্যর সচেতনতা সভা ও ভিজিএফ বিতরণ

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হতে হবে – যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূইয়া

স্ক্যাবিস: এক নীরব মহামারী

দলীয় প্রধানরা লড়তে পারেন যেসব আসনে

দিয়ারা সেটেলমেন্ট পেশকারের প্রকাশ্যে ঘুস লেনদেনে নামে মাত্র বদলি জনমনে ক্ষোভ,
শীগ্রই প্রজ্ঞানন্দ ও আলমগীরের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান

হকি খেলতে চীনে যাচ্ছেন শান্তিগঞ্জের নাদিরা তালুকদার ইমা

শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার : আটক-১

শিক্ষার আলোকবর্তিকা মরহুম মোঃ আব্দুল মজিদের স্মরণসভা