ঢাকাবুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. জাতীয়

তুরিনকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১২ নভেম্বর ২০১৯, ৩:০২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

নিউজ ডেস্ক :

তুরিন আফরোজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। ফাইল ছবি
পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তাকে মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার ওয়াহিদুল হকের মোবাইল ফোনে থাকা দুই অডিও রেকর্ডের কারণে ফেঁসে যান তুরিন আফরোজ।

রাজধানীর গুলশান থেকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করে গুলশান পুলিশ।

ওই সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করে পুলিশ। পরে সেটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দুটি অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়। ওই অডিওতে তার সঙ্গে তুরিনের যোগাযোগের তথ্য ছিল।

গুলাশান থানার ওসি অডিও রেকর্ড দুটি কপি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেন। পরে সংস্থা তা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরকে দিলে তুরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়।

দুটি অডিওর মধ্যে একটি টেলিফোন কথোপকথনের রেকর্ড। এটি চার মিনিটের মতো। অন্য অডিওটি ওই গোপন বৈঠকের, প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার মতো।

জানা গেছে, তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে তদন্ত হচ্ছিল। তা হল- আসামি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠক, মামলার নথি তার কাছে হস্তান্তর ও মামলার মেরিট নিয়ে কথা বলা।

অভিযোগের প্রমাণ ও অডিও রেকর্ড আইন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আসামি ওয়াহিদুল হকের মামলার প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। গত বছর তদন্ত শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর তুরিন আফরোজকে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়।

অভিযোগ উঠে, ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতারের আগে গত নভেম্বরে তুরিন আফরোজ প্রথমে তাকে টেলিফোন করে দেখা করার সময় চান। এর পর একটি হোটেলে ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন তিনি।

তদন্ত সংস্থার সিনিয়র সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, তাদের টেলিফোনে কথা হয় গত বছরের ১৮ নভেম্বর। আর পর দিন ঢাকার অলিভ গার্ডেন নামে একটি রেস্তোরাঁর গোপন কক্ষে বৈঠকটি হয়। সেখানে তুরিন আফরোজ, তার সহকারী ফারাবি, আসামি ওয়াহিদুল হকসহ মোট পাঁচজন ছিলেন।

তিনি জানান, টেলিফোন রেকর্ডে তুরিন আফরোজ জানিয়েছেন যে তিনি বোরকা পরে ওই হোটেলে যাবেন। তার সঙ্গে থাকবে সহকারী ফারাবি, যাকে তিনি নিজের স্বামী পরিচয়ে সেখানে নিয়ে যাবেন।

সুত্র: যুগান্তর

219 Views

আরও পড়ুন

ইসলামপুরে মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে স্যারের সঠিক মাত্রা নির্ধারণ ও সংযোগ স্থাপন বিষয় কর্মশালা 

কবি ফিরোজ খাঁনের কবিতা : রাজনীতিতে নেই নীতি

কাপাসিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা গনি শেখ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ২ জন গ্রেপ্তার

কাপাসিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার

সাংবাদিকদের সঙ্গে এমপি প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসীন খানের মতবিনিময় সভা

তানযীমুল উম্মাহ গার্লস মাদরাসা ইবতেদায়ি ও প্রি-হিফয শাখার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

শান্তিগঞ্জে বিশ্ব জলাভূমি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

শান্তিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা মাছুম গ্রেফতার

শান্তিগঞ্জে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৪০

শান্তিগঞ্জে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে৫০হাজার ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে ৬৯বোমা-সরঞ্জামাদিসহ আটক-২