ঢাকারবিবার , ৬ অক্টোবর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

মানবাধিকার অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান এর পেশায় ৩০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

–মোহাম্মদ টিপু সুলতান।

——-নিরলস, নির্ভীক অদম্য মানবাধিকার আইনবিদ,কলামিস্ট ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা,বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান দলমত নির্বিশেষে সর্বমহলে একটি সূপরিচিত নাম।দূদিন আগে তাঁর আইন পেশায় ত্রিশ বছর পূর্তিতে তাঁর এসোসিয়েটসগণ তাঁকে সংবর্ধিত করে। একজন তাঁর ঘনিষ্ঠ জন ও প্রীতিমুগ্ধ, গুণমুগ্ধ ভ্রাতৃপ্রতীন অনুজ হিসেবে তাঁকে নিয়ে দূটি কথা লিখতে চাই। আমাদের হাটহাজারী উপজেলার তদানিন্তন বৃহত্তর অবিভক্ত গুমান মর্দন ইউনিয়ন কাউন্সিল এর সর্বশেষ চেয়ারম্যান, নিজ গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, এদেশের সমবায় আন্দোলন ও গ্রাম উন্নয়নের অন্যতম পুরোধা, বরেণ্য আইনবিদ এডভোকেট আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ য়্যাহ্য়্যা তাঁর পিতা। পিতার আদর্শে গড়ে ওঠা সূযোগ্য এ সন্তানের কাজকর্মে উত্তরাধিকারের ছাপ তাঁর প্রতিটি কর্মে বিদ্যমান।

এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান চট্টগ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৩ সনের ২৬ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন।উল্লেখিত প্রখ্যাত আইনজীবী মরহুম আবু মোহাম্মদ য়্যাহয়্যা ও মহিয়সী নারী মরহুমা আলহাজ্ব জায়তুন আরা বেগমের একমাত্র পুত্র ও জ্যৈষ্ঠ সন্তান। মাতামহ মরহুম এডভোকেট এজাহার হোসাইন বি,এল (ব্যাচলর অব ল)। জনাব জিয়া হাবীবের সহধর্মীনি প্রিন্সিপ্যাল আশ্ ফা খানম চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিক ও চট্টগ্রাম আইন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক ব্যারিষ্টার আমিনুল হক এর বড় মেয়ে। তিনি নগরীর সুপরিচিত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সিভিএনএস এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল।

এডভোকেট জিয়া হাবীব ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামের মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। স্কুল জীবন থেকে তিনি স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে মানবাধিকার কর্মকান্ড ও পরোপকারী জীবন পরিচালনা করে আসছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজত্বত্ত বিষয়ে অনার্স এবং মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯০ সালে এলএল, বি পাশ করে ১৯৯৩ সালে আইন পেশায় যোগদান করেন। তিনি ২০০৯ সালে এলএল,এম ডিগ্রিও অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে প্র্যাকটিসিং সনদ এবং ২০০০ সনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে টেক্স বার চট্টগ্রামের সদস্য পদ লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি দীর্ঘদিন এ্যাসিস্টেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটর এর দায়িত্ব পালন করেন এবং চাঞ্চল্যকর সীমা ধর্ষনের আলামত গোপন মামলায় এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর এর দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ও প্যানেল ল’ইয়ার হিসেবে কাজ করেছেন এবং করে আসছেন।তিনি চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন কর্তৃপক্ষ- চট্টগ্রাম ওয়াসা র আইন উপদেষ্টা, তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর প্যানেল লইয়ার হিসেবে কাজ করেন। তিনি ইউসিবিএল, আইবিবিএল, এফএসআইবিএল, ইবিএল, রূপালী ব্যাংক লিঃ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, সাউথইষ্ট ব্যাংক লিঃ, মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ, আইসিবি ব্যাংক লিঃ, ইউনিয়ন ব্যাংক লিঃ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ জিআইবি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিঃ, চিটাগাং ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল এইড কমিটি, ব্যাংক এশিয়া লিঃ (এক্স), যমুনা ব্যাংক লিঃ, ইসলামিক ফাইনান্স এন্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিঃ (আইএফআইএল), বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ, এসজিএস বাংলাদেশ লিঃ, লূব-রেফ বাংলাদেশ লিঃ,সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি:, পদ্মা বৃযাংক লি:, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স ইউ,আইটিএস, ইউএসটিসি,বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ, চিটাগাং ডিভিশনাল পেপার মার্চেন্টস এসোসিয়েশন সহ বহু ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ও বিপক্ষে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করে আসছেন ইত্যাদি।

পেশাগত জীবনে তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানী, দেওয়ানী ও চাঞ্চল্যকর ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে বন্দরটিলা ক্ষতিপূরণ মামলা, কক্সবাজার কারাগারে বিনা বিচারে আটক ৩৯জন বিদেশী বন্দিদের মুক্তির জন্য রীট মামলা, পুলিশ হেফাজতে সীমা ধর্ষনের আলামত গোপন মামলা, পুলিশ হেফাজতে ডায়লাসিস রোগীর স্বজন নির্যাতনের মামলা সহ অগনিত মানবিক চেতনা’র মামলা পরিচালনা করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে পেশাগত জীবনের প্রারম্ভিক কালে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। একজন নিবেদিত প্রাণ মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সহ দেশে বিদেশে তাঁর প্রচুর সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময়কাল ধরে তিনি মানবাধিকার অংগনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড বা রাষ্ট্রপতি পদক ও ২০০২ সালে শ্রেষ্ট মানবাধিকার শাখা সভাপতি হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিকট হতে এবং ২০০৬ সালে প্রধান বিচারপতি মহোদয় হতে সম্মাননা লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী সংবাদ সংস্থা ভয়েস অব আমেরিকা ফ্যান ক্লাব কর্তৃক মানবাধিকার পদকে ভূষিত হন।

তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জাতীয় কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এসজিজিএইচআর প্রকল্পের চট্টগ্রাম শাখার সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ এর মহাসচিব।

তিনি প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজাবল’স কনসার্ন) এর ভাইস চেয়ারম্যান, চিটাগাং ভিক্টোরী ন্যাশনাল স্কুল-সিভিএনএস এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা স্কাউটস এর নির্বাহী সদস্য, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক ও প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, আমরা চাঁটগাঁবাসী’র নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম কলেজ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এম.ই.এস), কদম মোবারক অরফেন সেন্টার, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন,কিডনি রোগী কল্যাণ সমিতি, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত¡ বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ-জামায়াত কমিটি, আহসানীয়া মিশন চট্টগ্রাম, রাউজান ক্লাব প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হিসেবে নানামুখী সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।

তিনি একজন নিয়মিত কলামিষ্ট, গবেষক হিসেবে নিয়মিত স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক, বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি উপস্থাপন করে আসছেন। ইতিমধ্যে তার আইন বিষয়ক একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং হওয়ার পথে। তিনি দেশ বিদেশে মানবাধিকার বিষয়ক বহু ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

একজন আইনবিদ ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে ২০০৮ সনে ‘‘মানবাধিকার ও মার্কিন বিচার ব্যবস্থা’’ শীর্ষক মাস ব্যাপী এক ট্রেনিং কর্মসূচীতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীসহ বিভিন্ন রাজ্য সফর করেন। তিনি ক্রস লার্নিং শেয়ারিং ভিজিট প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০০৬ সালে নেপাল সফর করেন এবং সিঙ্গাপুর পুলিশের আমন্ত্রণে ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুর কমিউনিটি পুলিশিং এর উপর ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন।

এছাড়াও তিনি থাইল্যান্ড, ভারত, সৌদি আরব, দূবাই,মিশর,তুরস্ক,মালয়েশিয়া, মায়ানমার, জার্মানী,প্রাগ,ভিয়েনা প্রভৃতি দেশ সফর করেন। তিনি ইউএনএইচসিআর এর সহায়তায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আয়োজনে রিফিউজি ল’ সংক্রান্ত কর্মশালা, সরকারের আইন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন। মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৭ এবং ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষক এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার পিতার প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর প্রতিষ্ঠান ‘জায়তুন-য়্যাহয়্যা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’র সেক্রেটারী জেনারেল। একজন সুলেখক ও কলামিষ্ট হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। অদ্যবধি দেশের বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও জার্নালে তাঁর ৩(তিন) সহস্রাধিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর রচিত একাধিক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেশবরেণ্য মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট এলিনা খানের নেতৃত্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ এর ট্রাস্টিবোর্ড মেম্বার ও মহাসচিব এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি এক কন্যা ও ৩(তিন) পুত্র সন্তানের জনক। ব্যক্তিজীবনে দারুন আত্মবিশ্বাসী, ইতিবাচক মনোভাবের ও বন্ধুবৎসল এ মানুষটি একজন পরোপকারী ব্যক্তি, দক্ষ সংগঠক ও সাহসী মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজগুণে মানুষের হৃদয়ে দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলেছেন।

যিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আন্তর্জাতিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টেরর দাওয়াত পেয়ে;তাঁর সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্কের সহোদর নয় বা বন্ধুত্বেরও নয় কিংবা বয়সেরও নয়।বরং আছে হৃদয়ের হৃদ্যতায় সীক্ত এবং মনের মনমাতানো গভীরতম মেলবন্ধন,আছে আনন্দ উচ্ছ্বাসের ফুলের সৌরভ ছিঁঠানো সুগন্ধের মতো সুন্দর-সুখময় সুভাসের সাদৃশ্যময় ছোঁয়ায় আচ্ছন্ন আনন্দঘন এক চমৎকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশের মনোভাবের সমন্বয়।
যাঁর ক্ষুরধার লেখনিতে জাতি উপকৃত,আমরা গুণমুগ্ধ। দেশ মহাদেশ ও মানব প্রকৃতির রূপসৌন্দর্য্যে সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন গুণীজনের অলংকারিক দিক অতঃপর বিশেষ করে গরীব-দুঃখী তথা জনমানুষের চরম দুঃসময়ে আর্থিক, মানবিক সহযোগিতা ও আইনি বিষয়ে সততা ন্যয়নিষ্ঠার মাধ্যমে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মানবপ্রেমের মাধ্যমে প্রভূর সন্তুষ্ঠি অর্জনের প্রাণান্তকর প্রয়াস সমাজে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন বিষয়ে অনন্য লেখাগুলো পড়ে আসছি আমি বিগত তিন দশক পূর্ব থেকে,যা খুব মনোমুগ্ধতায় স্নিগ্ধতায় সিক্ত হয়ে আছে হৃদয়ের আয়না।যা কখনো রিক্ত হবে না কখনও মনের গহীনের স্মৃতি থেকে।স্মৃতির পাতাতে জমা রয়েছে তাঁর মুখের অনেক অমূল্য বাণী।সেসব কথা তো অমর বা অসাধারন কিছু কথা বা শিল্পীর অসাধারণ এক চমকপ্রদ শিক্ষা,যা আগামী প্রজন্মের-আলোক বর্তিকা।বর্তমানে সে আমার অত্যন্ত কাছের একজন অগ্রজ শ্রদ্ধেয় শিক্ষকতুল্য গুণধর মানুষ, আবার নিতান্তই আপনজনও বটে। যাঁর কাছে মনখুলে বলা যায়, শেখা যায়। তিনি নিজে আমাকে ছোটভাইতুল্য মনে করলেও সম্মানের সূরে আপনি বলে সম্বোধন করে কথা বলে,ধন্য করে নেন আমাকে!তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন, প্রবীনদের মনোবেদনা প্রশমনের ঔষধ, বন্ধুদের প্রিয়, বড়োদের স্নেহের সর্বোপরি মজলুম অধিকারহারা মানুষের আপনজন, নিরলস নির্ভিক আইনযোদ্ধা এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, বৃহত্তর গুমান মর্দন গ্রামের কৃতি সন্তান।
আমার দেহ-শরীর অনেক দিন ধরে রুগ্ন-জীর্ণশীর্ণ এবং অবসরে থাকলেও;হৃদয়-মন যেন আমার অনেক সুস্থ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরা,নবযৌবনা।সেই সুস্থ-সাহসীদৃপ্ত চয়ন মনের কাছের যেকয়জন গুণীজনকে আমার হৃদয়ের ভালোবাসার বাতায়নে অতি সজতনে আবদ্ধ রেখেছি অমূল্য রত্নের আদলে ,ঠিক তাঁকেও রেখেছি অনন্য মর্যাদায় ।জাতি পেয়েছে এক সযত্নে সগৌরবের সম্ভ্রান্ত এক দৃঢ়চেতা একনিষ্ঠ মানবাধিকার সিপাহসালার।যাঁকে নিয়ে এত আলাপ চারিতা সে আমার অত্যন্ত কাছের স্বজ্জন শ্রদ্ধাভাজন এবং দেশ-দুনিয়ার এক কিংবদন্তীতুল্য মানবাধিকার লিডার,পরিব্রাজক, কলামিষ্ঠ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বহুগ্রন্থ প্রণেতা জনাব এডভোকেট এ এম জিয়া হাবিব আহসান সাহেব।ওঁনাকে অনুসরণ,অনুকরণ এবং আপন করে নিতে দেখলাম দলমত, জাতি,ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য ছোটবড় গুণীজনকে!
তাঁকে নিয়ে আমি কিছু দিন আগে একটি লেখায় যেসব শব্দ চয়ন এবং ভবিষ্যতের ওপর কতক বাক্যে বলেছিলাম,আমাদের আগামীর সুন্দর-স্বপ্নের সোনালি দিনে আপনি হবেন রাষ্ট্রের গুরুজন।আপনার গাড়িতে শোভা পাবে আমাদের রক্তস্নাত সুন্দর লাল সবুজের পতাকা।(একজন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের সুযোগ্য উত্তরসূরী)
প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন আমার লেখার উত্তরে আমার কথাগুলিকে সাদা মনের সায় দিয়ে ওনি বক্তব্য ব্যক্ত করেছিলেন।

অথচ উনি অনেক আগে ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমন্ত্রিত মেহমান হয়েছিলেন ঠিক।যা সময় পেয়েছেন প্রায় দীর্ঘ এক মাস।এটা ছাট্টিখানি কথা নয়।যিনি আমার কথার ভাবসাব ছিল তো আপনার চলমান সুন্দর কলমের লেখনি শক্তি এবং আপনার যেসব মানবাধিকারের মানবিক চরিত্র জনসমাজে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার চরিত্রে,আপন আলোকবর্তিকার মতো সুন্দরভাবে ফুটে উঠে আসতেছে শুধু তা দেখে নয়।বরং আপনার চলমান পুরো বিষয়ে,যেভাবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিসরে দেখে আসছি,অতটুকুই আমার হৃদয়ের প্রতিচ্ছবির প্রতিধ্বনি ছিল মাত্র।যাকে দেখছি বিশ্ব বরেণ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু,শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধি এবং ন্যালসন ম্যান্ডেলাসহ সারা দুনিয়ার যে কয়জন বরেণ্য ব্যক্তি যাঁরা নিজ দেশে রাষ্ট্রপতি বা রাষ্টীয় ক্ষমতার আসনে আসিন ছিলেন;তাঁদের মতোই অনন্য একজন উত্তরসূরী। যে ব্যক্তি একজন সে- উন্নতমানের মহামান্য মাণ্যবরদের বরণ করার মতো একজন।অভীষেকের প্রাপ্তির পুরোটা প্রায় স্বর্ণচুঁড়ায় যার।ছোট করে বলেছি যেখানে,সেখানে তো সে হয়ে আছেন অনেক আগে থেকে বড়ো মহীয়ান।স্যালূট তাঁকে।জন্ম সার্থক হোক।সার্থক যে মা-বাপের আপনি একজন গর্বিত-গর্বের-সুসন্তান!যে শিক্ষক গুরুজনরা আপনার মন-মগজে সুশিক্ষার আচঁড় লাগিয়েছেন।যাঁদের বিনিময়ে আপনি হয়েছেন ধ্যন-জ্ঞানের আলোয় বড়ো হৃদয়বান!
যে মহৎ ব্যক্তির লেখা পড়ে পাই আমি পথের ছায়া।যাঁর বই পড়ে পাই অনেক দিনের না জানা কথা।যাঁর মুখের কথা শুনে হই আমি শান্ত।সেই গুরুজনের জন্যে প্রায় প্রভুর দরবারে দরদের সাথে দো’য়া করি তাঁকে যেন দুনিয়া-আখিরাতের সিপাহসালার বানিয়ে নিক।দরাজ কন্ঠে বলবো রাব্বুল আ’লামিন তাঁর গৌরবের জন্মদাতা মা-বাপকে কবরে তুমি জান্নাতের সর্বোচ্চ সুমহান মেহমান হিসেবে কবুল করুক।তাঁর স্ত্রী সন্তানদেরকে করুক দুনিয়া জোড়া খ্যাতির কর্ণধার।বহু চাঞ্চল্যকর মামলার সাহসী আইনবিদ কে প্রভূ হেফাজতে রাখুন, আমিন।

লেখক: গ্রামীণ জনপদের ইতিহাস ঐতিহ্য গবেষক ও কলামিস্ট।

369 Views

আরও পড়ুন

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেম ওলামাদের বিশেষ ভুমিকা ছিল–মহেশখালীতে ওলামা মাসায়েখ সম্মেলনে হামিদ আযাদ

আনন্দীপুর পুষ্প স্পোর্টিং ক্লাবের অফিস উদ্বোধন ও কমিটি ঘোষণা

কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি এফ এম কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক লিটন

শহিদদেরকে কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। শহিদরা জাতির সম্পদ- আমীরে জামায়াত

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিপদ সীমার ওপরে নদীর পানি

দোয়ারাবাজারে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পদত্যাগ করলেন বুটেক্সের উপাচার্য

সাইফুল ইসলামের কবিতা: প্রকৃতির ছবি

কক্সবাজারে ব্যবসায়ীকে মারধর ও টাকা ছিনতাই: থানায় অভিযোগ

আগামী ১১ অক্টোবর বিশাল কর্মি সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের পিএমখালীতে খাল দখল মুক্ত করলেন ইউএনও

বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহর (স:) আদর্শই একমাত্র পথ