আমাদের সমাজে গীবত একটি মহামারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। মানুষে মানুষে সম্পর্ক বিনষ্ট কারী উপাদান হচ্ছে গীবত। গীবতের কারণে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। গীবতের পরিচয় সম্পর্কে আল হাদীসের নির্দেশনা :
❝হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “গীবত কী তা কি তোমরা জান?” লোকেরা উত্তরে বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “গীবত হলো তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে অপছন্দ করে।” জিজ্ঞাসা করা হলো, “আমি যা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবে এটাও কি গীবত হবে?” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাহলেই সেটা হবে গীবত আর তুমি যা বল তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে সেটা হবে বুহতান বা মিথ্যা অপবাদ।” (মিশকাত- পৃ ৪১২)❞
মহান আল্লাহ তায়ালা গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
❝আর তোমরা একজন অন্যজনের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের অসাক্ষাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? প্রকৃতপক্ষে তোমরা তো এটাকে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী পরম দয়ালু।(সুরা হুজুরাত : ১২)❞
আমাদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে হলে গীবতের মতো মানবীয় দূর্বলতা বাদ দিতে হবে। কেউ গীবত করলে নিজে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গীবতকে থামিয়ে দিতে হবে। গীবত থেকে বাঁচার জন্য যার গীবত করা হবে তার ভালো কাজ গুলোর প্রশংসা করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে গীবতের মতো অপরাধ থেকে নিজেকে সরিয়ে আনা যাবে।
লেখক, শিক্ষার্থী : তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী, গাজীপুর।