ঢাকাশনিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
—-
কয়েকটি বর্ণের সমন্বয়ে সংগঠিত একটি শব্দের নাম”বিশ্বাস”।বিশ্বাসের পূর্ন তাৎপর্য পুস্তকের পর পুস্তক লিখেও সমাপ্ত করা যাবে না।
প্রথমে সবচেয়ে বড় অনুভূতি প্রবন স্পর্শকাতর হচ্ছে “ধর্ম” । ধর্মের মূল মন্ত্রই হচ্ছে বিশ্বাস! তাই মহাপবিত্র আল কোরআনে বার বার বলা হয়েছে
-হে বিশ্বাসীগণ!! প্রত্যেক ধর্মের মূল ভিত্তিই হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাস করেই আমরা মহান সৃষ্টি কর্তাকে জপে পরপারে মাপে সফলাতায় বেহেশতে আর অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্বর্গে পৌঁছাবো।
ধর্ম নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি ধর্মেই নিষেধ।
একজন মানুষ যখন অন্যকে বিশ্বাস করে,পরে বিশ্বাস ঘাতক রূপে বিশ্বাসী লোকের দেখা মেলে। তখন আর তাকে বিশ্বাস করা যায় না। কাঁচ ভাঙ্গিলে যেমন জোড়া লাগে না। বিশ্বাস তেমন অনুভূতি প্রবন ও স্পর্শকাতর বিষয়।
ইতিহাসের জঘন্যতম বিশ্বাস ঘাতকের বংশের সাথে মিললে ঐ নাম আর কেহ ঘৃনা ভরে না রেখে প্রত্যাখান করে। যেমন মীরজাফর মীর বংশের কেহ জাফর নাম এখনো রাখে না।দুনিয়া যতদিন রবে ততদিনই রাখবে না।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় হচ্ছ-
বিশ্বাস! বিশ্বাস! বিশ্বাস!
মিডিয়ায় দৃশ্যমান অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় দিনে আলোয়ে আরবি জানা, আল খেল্লা পরা, আল কোরাণের বাণী দিয়ে বিশ্বাসী সহজ সরল মানুষকে সিরাতুল মুসতাকিনের পথে আহব্বান করেন যিনি, রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীদের গডফাদার হয়ে প্রতারনা চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ সকল কুকর্মে অপরাধ জগৎতের শেঠ হয়ে কোরাণ সুন্নাহ পরিপন্থী কর্মে ভুয়া ডাক্তার সাহেদের মত লিপ্ত থাকে তিনি।
মন্দিরের পুরোহিতের হিতোপদেশে দেবীর ভুয়া মাসিক ভক্ত অনুরক্ত লাল কুরক্ত পানীয়ের সাথে পান করে বিশ্বাসে সুস্থ্য হয়ে যায়।
“বিশ্বাসে বস্তু মিলে তর্কে বহু দূর ”
ফকিরের ফিকিরে জিকিরে কারো গরু ছাগল হারায় কারো পেছনে পেছনে রাতে কালো গেঞ্জি পরিহিত ছায়া হয়ে নারীর জ্বীন পুরুষের পরী আছড় করে। পানি পড়া কালো তাগা পড়া ধাগা দিয়ে অগ্নি প্রজ্বলিত করে ধুয়া দিয়ে কুয়াশা করে ফকির বিশ্বাসে সুস্থ করে। নিজে সংগোপনে স্বপরিবারে ডাক্তারের চিকিৎসায় সুস্থ রয়।
অথ্যাৎ নিজে চিকিৎসা করে গোপনে গোপনে রাত্রে বড় মাপের ডক্টর দ্বারা আর ফকিরা চিকিৎসা দেয় প্রতারণা ফুঁ দিয়ে। গর্ভপতি মেয়েদের জল পড়া ফুঁ দিয়ে ব্যাথা কমায় বরং ব্যাথা কমে নয়, সেক্সের বিষয় জেনে ফকির সাহেব গর্ভপতি মেয়েদের কাছ থেকে।
বন্ধু ব্যবসায়ী পর্টনার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাময়িক ভুলবুঝাবুঝিতে বিশ্বাসের আশ্বাসে ঘাটতি দেখা দিলে উভয়ের পারস্পরিক সমযোদায় ভুল ভাঙ্গিয়ে বিশ্বাস পুনর্দ্ধারের চেষ্টা করা যায়। যদি কিছুতেই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন সম্ভব না হয় তবে কোন পক্ষদ্বয় জোড়াতালি দিয়ে সম্পর্ক না জিয়িয়ে বিধিবিধান মতে সম্পূর্ন আলাদা হওয়া সমীচীন নতুবা খুনখারাপি অযাচিত ঘটনা ঘটতেই পারে এবং স্বামী স্ত্রীর তালাক প্রথা প্রচলিত। সম্পর্ক চিরচ্ছেদ পুনঃ সম্পর্ক স্হাপন করতে না হয় তা লক্ষ কোটিবার ভেবে চিন্তে চিরচ্ছেদ করতে হবে।
মূল কথা হচ্ছে প্রতিটি মানুষের অতিরিক্ত আবেগ বিবর্জিত হয়ে বিবেক জাগ্রত করে ভেবে চিন্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ই হচ্ছে প্রকৃত জ্ঞানীর
কাজ। একবার বিশ্বাস হারিয়ে গেলে ফের বিশ্বার পূর্বরায় ফিরে পাওয়া যায় না।
কলাম লেখক-
মো:মজিবুর রহমান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
কর্মরত :সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার।
