ছাতক প্রতিনিধি::
দলিলের ভূয়া জাল জাবেদা-নকল তৈরি করে ভূমি নামজারির অভিযোগে সুনামগঞ্জের ছাতকে আনিছ আলী নামের এক ব্যক্তির ৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ করেন আদালত। অপর ৭জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে
অব্যাহতি দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কুদরত-এ-এলাহী এ দণ্ডের আদেশ দেন।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির হলদিউরা গ্রামের হলদিউরা মৌজার ৫৯খতিয়ানের ১৯১দাগের ৮শতক ভূমির এসএ রেকর্ডে মালিক ছিলেন মৃত সিদ্দেক আলী
ওরফে মিলিক আলী। সিদ্দেক আলী মারা যাওয়ার পর তার উত্তরাধিকারী ৪পুত্র ও
১কন্যা ভোগ করে আসছে। একই গ্রামের মাফিজ আলী পুত্র আনিছ আলী, আপ্তাব আলী, ইন্তাজ আলী, কন্যা বাউসা গ্রামের বানেছা, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের পলিরটুক
গ্রামের হুসিয়ার আলীর স্ত্রী গুলেছা, চরমহল্লাহ ইউনিয়নের নানকার গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের স্ত্রী নুরেছা, পুত্র বধূ মৃত সাইদ আলীর স্ত্রী নেহার
বেগম ও মৃত সমুজ আলীর স্ত্রী রাফিয়া বেগম এ ভূমিটি আত্মসাতের ঘটনায় ১৭৯৯/৬৭ নম্বর দলিলের ভূয়া-জাল জাবেদা নকল তৈরি করে। নামজারি ও জমা-খারিজ মোকদ্দমা ১৪১৬/১৩-১৪ (ছাতক) এর মাধ্যমে তাদের নামে নতুন ১২৪নং খতিয়ান তৈরি করে ভূমিটি দখলের প্রচেষ্টা চালায় । এতে সিদ্দেক আলীর পুত্র আব্দুল রজাক ২০১৭ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে
(ছাতক-দোয়ারা জোন) দঃবিঃ ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় (সিআর ৫৯/১৭) মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ছাতক থানা পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৪ মে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এতে জাল-জালিয়াতি করে দলিলের জাল জাবেদা নকল তৈরি করে আনিছ আলীর স্বাক্ষরে ৮ শতকের ভূমিটি নামজারি করার বিষয়টি ধরা পড়ে। মামলায় বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮জন সাক্ষীর জবানবন্দী ও জেরা শেষে চলতি বছরের ৪ আগষ্ট যুক্তিতর্ক অনুষ্টিত হয়। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ রুবেল আহমদ মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার রায়ের মধ্যদিয়ে প্রমাণ হলো জাল-জালিয়াতি করে ভূমি আত্মসাতের জন্য নামজারী করে মালিক হওয়া যায়না বরং সাজা পেতে হয়। মামলার বাদী আব্দুল রজাক বলেন, এ ভূমিটি মৌরশীস্বত্বে মালিকানায় ভোগ দখল
করে আসছে বলে দাবি করেন। আনিছ আলী একজন চিহিৃত ভূমি দস্যু। জাল-জালিয়াতির
আশ্রয় নিয়ে নামজারি করে ভূমিটি আত্মসাতের চেষ্টা করে। এ মামলার রায়ে বাদী সন্তুষ্ট।##