দূরের আকাশে কান্নার দল
হয়তো আজ তাদের মন খারাপ,
অঝোরে ঝরছে চোখের জল
তাদের কিসের এত অনুতাপ।
মরুর বুকে প্রাণ ফিরিয়ে
প্রানবন্ত করে দিলো চারপাশ,
নিজের কষ্টটাকে লুকিয়ে
এভাবেই কি অন্যকে হাসায় আকাশ।
এবার তার ফেরার পালা
অন্যকে জানিয়ে নিমন্ত্রণ,
রেখে চাপা কষ্ট আর জ্বালা
হাসি মুখে চলে যাবে চেপে ক্রন্দন।
উচ্ছ্বাসে আছড়ে পড়া তীব্র ঢেউ
কল কল শব্দে প্রবাহিত স্রোতঃস্বিনী,
নিরবে বয়ে চলে বোঝেনা কেউ
দুই আখি মেলিয়া তাহার হরিণী।
বালি হাঁস ভেসে বেরায় স্রোতের সাথে
তরঙ্গ যেন তার সাথে খেলায় মেতে ওঠে,
মধুর গুঞ্জনে চারপাশ মুখরিত প্রাতে
আহ্লাদে আত্মহারায় শুধু রঙিন পুষ্প ফোটে।
বাতাসের গান বিমোহিত করে মন
সন্ধ্যার আকাশে পাখিদের বাড়ি ফেরা,
আর কিচির মিচির করা কূজন
ধূ-ধূ মাঠের বুকে সবুজে ঘেরা।
ভোরের কুয়াশায় দেখা ঐ দূর
ঘাসে জমে থাকা মুক্তার বিন্দু,
দূর করে সব বিষন্ন মেদুর
প্রাণে দেয় দোলা বিশাল সিন্ধুর।
অনুভবে বিশাল সমুদ্র গহীন বন
সবুজ পাহাড় ঠায় দাঁড়িয়ে অবিচল,
সবার সাথে গভীর সম্পর্ক আত্মীয় স্বজন
অপরূপ মায়ায় অশ্রু সিক্ত সজল।
এত রূপ বর্ণনায় করা যাবে না শেষ
স্নিগ্ধ কোমল মায়ায় লিখে যান কবি,
সবুজে ঘেরা বাংলা-ই আমার দেশ
ফুটে থাকা একচ্ছত্র প্রকৃতির ছবি।