——————-
আকাশরে তুই সারাটাক্ষন কেন এত হাসিস
কেন এমন সব ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে আছিস?
“আমি হাসি চাঁদের আলোয়, সূর্যের উষ্নতায়,
হাসি যখন তারা রা হাসে,আমারও হাসি পায়
সুখ খুঁজে নিই সবার সুখে,আশ্রয় দেই মহান বুকে
শুন্য বুকে ঝড় তোলে, অপ্রাপ্তির শোকে
মিঠে হাসি স্থান পায় অপ্রাপ্তি ঢেকে”
আকাশরে তোর মহান হৃদয়,মহান অনুভুতি
তবে কেনরে এতো আক্ষেপ,কিসের আকুতি?
“চাঁদের আলো ভেজায় আমায়,তৃষ্না মেটেনা
সূর্যের উষ্নতায়ও তৃপ্তি পাইনা
তারকারা হেসেখেলে গান গেয়ে যায়,
আমার কানে তো স্রোতধ্বনি গুন্জরায়
দেখতে পাই,শুনতে পাই
দিনশেষে যোগ হয় আরেকটি অপ্রাপ্তি,অপূর্ণতা
কেন ওহে জলময়ী, কেন এতো দীর্ঘতা?
উচ্চতার স্বাদ পাই,তুমি বিনে তেতো তাই
চাঁদ,সূর্য,নক্ষত্রে সেই সুখ নাই
বারংবার আমি এই জমিনে ফিরতে চাই”
জমি যদি ফিরবিরে আকাশ গৌরব তোর কিসে
এতো সুখ ছেড়েরে তুই ফিরবি কেন মিছে?
“এক বিশাল পৃথিবী সে তো নিচেই পরে থাকে
জলময়ীর স্রোত সে যে আমাকেই ডাকে
উচ্চতায় আসীন আমি,দেখতে পাই ঠিক ই
সবছেড়ে ছুটে যাবো স্বপ্ন আঁকতে থাকি।
দিনশেষে সূর্য থেকে পেলেম যখন ছুটি
চাঁদ এসে বলে,”ভাইয়া কই যাও গুটিগুটি?”
থেমে পড়ি,থেমেই থাকি,নড়তে পারিনা
উচ্চতার সীমা ভেঙে নামতে পারিনা
এতো রঙিন জীবন সংসার আমার জীবন স্থিরে
শুন্য আমি,একা আমি,
হাজার তারার ভিড়ে”।