——-
ফিরে দেখা
মো:হেলাল মিয়া।
আজ মনে হচ্ছে কত শত জনমের পরে আমাদের দেখা হলো,
তা কেমন আছো জানতে চাইব না,কারন তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন বোধ করি না।
তুমি চলে যাওয়ার পরে নিকষ কালো রাত গুলো ছিল খুবই বিভীষিকাময়,
হঠাৎ যখন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন মনে পরে প্রিয় তোমায়।
কিন্তু কি করব বল,পুরনো জিনিস আর পুরনো মানুষের প্রতি যে টান থাকে তা কখনো ভুলবার নয়,
কারন তোমার সাথে কাটানো সুমধুর স্মৃতি গুলো আজও নাড়া দেয় আমায়।
সেই তুুমি চলে যাওয়ার পরে কত নব প্রভাতের সূর্য উদয় দেখা হয় না,ভোর বেলা পাখির ডাকে আর ঘুম ও ভাঙ্গে না,
সঠিক সময়ে কাজ গুলো আর করতে পারি না,বারবার এই হৃদয় ত্বত্ত্বে ভেসে ওঠে তোমার মলিন মুখচ্ছবি কিন্তু তা ও আকরে ধরে রাখতে পারি না।
কতকাল দেখা হয়না ওই গোধূলি আকাশে লাল আভা নিয়ে অস্তমান সূর্যের
দেখা হয় না আর সন্ধ্যা তাঁরার সাথে, তুমি চলে যাওয়ায় সে গুলো বিদায় নিয়েছে আপন মনে।
শুনেছি তোমার স্বামী শহরের নামকরা ব্যবসায়ী, আর আমি এই সামান্য একজন চাকরিজীবী।
বেতন যা পাই তা দিয়ে কোনমতে দিন চলে যায় কিন্তু বিলাসিতা করা যায় না,চাইলেই তোমার মতো জীবন যাপন করতে পারব না।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কত পাওয়া না পাওয়ার অঙ্ক কষা হচ্ছে কিন্তু হিসেব গুলো আর পূর্ণতা পায় না
তোমার আধুনিক জীবন যাপন তোমার সৌন্দর্যের সাথে মানিয়েছে বটে,কিন্তু আদৌ তা কতটুকু সুখকর তা জানিনা
তোমাকে এখনো কতটা ভালোবাসি তা ও বুঝতে পারবে না।
সে যাই হউক,
দীর্ঘদিন দিন পরে ও তোমাকে বেশ দারুণ লাগছে,কিন্তু তোমার লাবণ্যতা ও একটু সঙ্কুচিত হয়েছে।
যেখানে তুমি জন্মগত ভাবে চির সৌন্দর্যের অধিকারী ,সেখানে তোমাকে এই ভারি মেকাপে বিদেশিনী লাগছে,
তোমার সুন্দর দাঁত গুলোর সাথে ঠোঁটের লিপস্টিকে তোমাকে বেশ বেমানান লাগছে।
কাজল কালো চোখ আর হাসিমাখা ঠোঁট গুলো ও আজ রুক্ষ লাগছে,
মুখে কৃত্রিম হাসি তোমার বেদনা লুকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ভারি গহনা, দামি গাড়ি, চোখে সানগ্লাস এতে আসলে তোমার বিলাসি জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠলে ও
না পাওয়ার বেদনায় তোমার ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, আজ আকাশ ভেঙে পড়ছে কিন্তু ফেরার পথ এবং সার্ধ কোনটিই আজ আমাদের নেই।