সকল আবদারের খনি বাবা
জেসিকা চাকমা
ভূমিষ্ট হয়েছি আমি যেদিন,
বাবার মুখের হাসিটা নাকি থামছিলনা একেবারে সেদিন,
একঘর হতে আরেকঘর বাবা ছুটেছিলেন অবিরত,
আমাকে দেখে মুহূর্তেই বাবার সকল ক্লান্তি অবসাদ হয়েছিল গত।
ভেবেছিল মেয়ে আমার বুঝি স্বয়ং লক্ষী হয়েই এলো ঘরে,
রাখব এবার যতন করে তারে আদর সোহাগে ভরে।
আর গুটি গুটি পায়ে আমি হাঁটা শিখেছি যেদিন,
বাবার চোখে খুশির জোয়ার, আনন্দে আত্মহারা সেদিন!
এসব কথা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলেছিল সবকিছু আমার মা!
আমার আগমনে বাবার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করার মত না।
যেদিন আমি একটু একটু করে শিখেছিলাম বাবা বাবা ডাক,
ভীষণ রকম খুশি বাবা,বাবার খুশি কে দেখে সেদিন!!!
সেই খুশিতে আকাশে কবুতর উড়িয়েছিল একঝাঁক,
তবু বাবাকে কখনো মুখ ফুটে বলা হয় নি বাবা আমি তোমায় খুব ভালোবাসি,
বাবা আমি তোমার দুঃখে হই, দুঃখী তোমার সুখেই হাসি।
সূর্যোদয়ের পূর্বে বাবা যেতো কাজের সন্ধানে,
আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিবে বলে ভাবত মনে মনে,
বাদলা দিনে কিংবা গ্রীষ্মের কড়া রৌদ্রে ও বাবা ছাড়ত না তার কাজ,
শুধু আমাদের খুশিতে রাখবে বলে নিজের দুঃখটাকে করতো না কখনো প্রকাশ।
লেখক: জেসিকা চাকমা
শিক্ষার্থী,আইন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।