সিলেট ব্যুরো :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবৈধভাবে বালু পাথর লুটের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাড়াশি অভিযানে আটকৃত ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা জেলা করাগারে (শ্রীঘরে)পাঠানো হয়েছে। ,
দন্ডপ্রাপ্তরা হল, উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের ইউনুছপুর গ্রামের আকিক মিয়া, পাতারগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম , রকিব মিয়া, সোনাপুর গ্রামের কাদির মিয়া , নুর জামাল, বালিজুড়ী ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামের বাদল মিয়া, বড়দল উওর ইউনিয়নের গুটিলা গ্রামের বিল্লাল মিয়া, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের কুকুরকান্দি গ্রামের আবদুস শহীদ,রসুলপুর গ্রামের শাহ আলম।
মঙ্গলবার সকালে দন্ডপ্রাপ্তদের থানা থেকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এরপুর্বে সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মুনতাসির হাসান ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর (১১) ধারায় অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে আটকৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদের মধ্যে ৮ জনকে ১০ দিন ও অপর একজনকে বয়স বিবেচনায় ৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উল্ল্রেখ যে, সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্য্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত সীমান্তনদী জাদুকাঁটার বিভিন্ন চরে অবৈধভাবে বালু পাথর লুটকালে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মুল্যের ইঞ্জিন চালিত নৌকা সহ আট সেইভ মেশিন জব্দ করেন।
এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট’র নির্দেশে জব্দকৃত সেইভ মেশিনগুলো সোমবার সন্ধায় জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আহাদ যুগান্তরকে বলেন, সীমান্তনদী জাদুকাঁটা, ধোপাজান-চলতি নদী, সুরমা, রক্তি, পাটলাই নদী সহ জেলার যে কোন নদীতে যান্ত্রিক পদ্ধতি (সেইভ, বোমা, ড্রেজার, নদীর তীর কাঁটা)’তে বালু পাথর লুট ও নৌ পথে যে কোন ধরণের চাঁদাবাজি বা অপতৎরতা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী সব ধরণের তদবীর বা প্রভাব উপেক্ষা করেই নিয়মিত অভিযান চালাবে।