এম.এম. রুহেল, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :
জৈন্তাপুর উপজেলার সিলেট তামাবিল মহসড়কের সড়কে শুক্রবার রাত ১০ টায় এক দূঘর্টনায় বাস-টমটম মূখোমূখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়।এতে আহত হয়েছেন আরো ২০/২৫ জন ।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সামনে শ্রীখেল নামক এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন।
দুঘর্টনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ছুটে এসে নিহত ও আহতদের উদ্বার কাজে সহায়তা করেন। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এই উদ্ধার কাজে সহায়তা করে।
গত ৭ জুলাই শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দরবস্ত বাজারের নিকটবর্তী সিলেট পল্লী বিদ্যুতের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস ও দরবস্ত থেকে ছেড়ে আসা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার মধ্যে এ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে ঘঠনা স্হলে ৪ জন ও পরে হাসপাতালে ১ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে স্থানীয় শ্রীখেল গ্রামের দু’জন রয়েছেন। নিহতদের সকলের বাড়ি স্থানীয় এলাকায় বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে টমটম চালক নিজপাট ইউনিয়নের বারগতি গ্রামের আব্দুল লতিফ (৫০) উপজেলার শ্রীখেল গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে নূর উদ্দিন (৫৫),
ফরফরা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মো. কামাল (২৫), বড়খলা গ্রামের মৃত খুর্শেদ আলমের ছেলে মসদ আলী (৫০) ও দিঘীপাড় গ্রামের মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে আব্দুল মতিন ওরফে কাচাই (৪৫) বলে জানাগেছে। যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো জ ১৪-১৬৯৫) সিলেট থেকে জাফলংয়ের দিকে যাচ্ছিল।
এসময় বিপরীতমুখী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশায় ৭ জন যাত্রী ছিলেন সবাই হতাহত হয়েছেন। এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে পড়ে যায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ,দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার সহ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস টিম সহ নিহত ও আহতদের উদ্বার করা হয়।
এছাড়া দূর্ঘটনা খবর পেয়ে শনিবার ভোরেই সিলেট জেলা প্রসাশক মজিবর রহমানের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল ঘটনা স্হল পরিদর্শনে আসেন।জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম ও চেয়াম্যান বাহারুল আলম বাহারের এর উপস্হিতিতে নিহত ও আহতে খুজ খবর নেন জেলা প্রসাশক। নিহতের দাফন, কাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবার কে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া আশ্বাস দেন জেলা প্রসাশক মজিবর রহমান।