শান্তিগঞ্জে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা,বিএনপি’র উপর নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের দাবী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দলের তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকাল ৪ ঘটিকায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে
টাইলা বাজারে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি ও দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে
এবং ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, দরগাপাশা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রওশন খান সাগর ও আহবায়ক কমিটির সদস্য পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জায়গীরদার খোকন এর যৌথ সঞ্চালনায় কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,উন্নয়নের বৈষম্য হয়েছে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে। বিগত ১৭ বছরে ১৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয় নাই। তাই বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করতে হলে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পার্লামেন্টে আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জিয়া পরিবার। সবুজ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে গ্রাম সরকার গঠন করে খাল খননের কর্মসূচি গ্রহণ করে ফসল ফলিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জুলুম সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছিল। বিএনপি’র প্রত্যেকটা কর্মী, প্রত্যেকটা লোক দোয়া করেছিল তাহার রোগ মুক্তি কামনায়। আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত মহিলা বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামকে তাহাজ্জুদের নামাজের সময় অন্ধকারে গুলি করে কত লাশ ফেলে ছিল তার সঠিক হিসাব এখনো মিলেনি। জাতীয়তাবাদী ৫৭ জন সেনা সদস্যকে বিডি আর বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয়েছে। এইভাবে বাংলাদেশে জুলুম নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করেছিল এই সরকার। অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে দাবী অবিলম্বে বিএনপি’র উপর নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করা হোক।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন।
তিনি বলেন, বিএনপির ১৫ বছরের হিসাব নিকাশ করতে এসেছি। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট পালিয়ে যাওয়া শাসক বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত শাসক। বিগত ১৫ বছর বাংলাদেশ একটি কারাগার ছিল। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে নাই, তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই, তাদের কথা বলার স্বাধীনতা হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে গ্রেফতার করা হতো। রিমোট এলাকার কর্মীরাও শান্তিতে ঘুমাতে পারে নাই। আমরা যারা জেলে ছিলাম তারা আরামে ছিলাম কিন্তু যারা বাহিরে ছিল তারা ছিল জাহান্নামের কষ্টে ।

তিনি অন্তবর্তী কালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছেন সেই তারিখে যেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,পাথারিয়া ইউপির সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ আমিন,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এটিএম হেলাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম নাঈম,শান্তিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য অজিত দাশ, সিলেট যুবদলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি শিহাব খান, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, মোঃ জিয়াউর রহমান,
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমদ, উপজেলা কৃষক দল নেতা মাহবুব ইসলাম তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ওবায়দুল করিম মাছুম,যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মানসুর আহমদ ও এমসি কলেজ ছাত্রদল নেতা রাজিব আহমদ।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি হারুনুর রশিদ, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জিতু মিয়া, প্রজন্মদল নেতা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাহিনুর পাশা ইমন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জসীম উদ্দীন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকিবুল ইসলাম,যুবদল নেতা শামসুল ইসলাম,ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য তোফায়েল আহমদ।

এসময় সভায় উপস্হুিত ছিলেন উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মোশাহিদ আলী, সামছুদ্দিন, গোলাম রব্বানী, মুজাহিদ আহমদ, জিয়াউল হক, উপজেলা বিএনপি নেতা নুর মিয়া, মাস্টার শফিকুল ইসলাম,শাহিনুর রহমান শাহীন।

তাছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ বকুল, যুবদল নেতা রেজু মিয়া, বিলাল খান, হাবিব আহমদ, আনসার উদ্দিন, শিহাব আহমদ, হাবিবুর রহমান মুক্তাদির, ছুয়াব আলী, লিচু মিয়া সহ ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।