মুহাম্মদ ইলিয়াস
|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু, বিহু মেলা-২৪ উপলক্ষে রাঙামাটিতে বুধবার (০৩ এপ্রিল) বিকেল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইন্সটিটিউটে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এটি পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সমূহের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান। বাংলা সনের শেষ দিন ও বর্ষবরণকে ঘীরে পাহাড়ি জনপদ এখন উৎসবের নগরী। শোভাযাত্রা, নাচে গানে বাহারি ঢঙে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাঙামাটিতে। এমন উৎসবে শামিল হতে পেরে উচ্ছ্বসিত তরুণ-তরুণীরা।
আয়োজকদেরও প্রত্যাশা সকলের মাঝে সম্প্রীতি আরো বাড়ার ।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়’র প্রতিমন্ত্রী ইজাহার খান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় কমিটি সভাপতি
দীপংকর তালুকদার এমপি, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য জ্বরতী তংচংঙ্গ্যা। রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী নানান আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার বিকালে শোভাযাত্রার মাধ্যমে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের ঐতিহ্যবাহী স্ব স্ব পোশাকে অংশ নেয়। বর্ণিল এই শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে পাহাডিদের ঐহিত্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হয়। শোভাযাত্রাটি কলেজ গেইট থেকে শুরু ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। নিজ নিজ জাতিগোষ্ঠির নাচ, গান ও পাশা খেলাসহ বিভিন্ন খেলার আয়োজনের পাশাপাশি রয়েছে মেলারও আয়োজন। মেলার আহবাহয়ক ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ইন্সটিটিউটে প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকলের পাশে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সহযোগিতার থাকবে বলে জানান।
বৈসাবি উৎসবে মেতেছে পাহাড়ের মানুষ। বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই, বিহু, বিষু নানান নামে আয়োজিত পাহাড়ের জাতিগোষ্ঠী সমূহ ভিন্ন ভিন্ন উৎসবকে একত্রে বৈসাবি উৎসব হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলে পালন করে থাকে। মূলত চৈত্রের শেষদিন ও নববর্ষ বরণকে উপলক্ষ করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও পক্ষকালব্যাপী এই অনুুষ্ঠানের রেশ থেকে যায়।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৈসারি উৎসব ১৬ এপ্রিল মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলির মাধ্যমে শেষ হবে।#