বরিশাল:
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম (বার) বলেছেন, বরিশালে কোন গ্যাং কালচার গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। আমরা আগেই বলেছি কাউকে নয়ন বন্ড হতে দেবো না। আর নয়ন বন্ড যাতে তৈরি হতে না পারে সেজন্য পরিবারকে আগে সচেতন হবে। অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তান কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে।
আজ দুপুরে নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও ইভটিজিং বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, পুঁথিগত শিক্ষার বাহিরেও সন্তানের ভেতর দেশপ্রেম তৈরি হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে। দিতে হবে নৈতিকতার শিক্ষা, যাতে সে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হতে পারে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা চাই একটি আস্থাবান পুলিশী ব্যবস্থা গড়ে তুলেতে। তাই আমরা সেবার মান উন্নয়ন কল্পে কাজ করছি। কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে শক্তিশালী করেছি। প্রতি তিনমাসে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা কথা বলছি। থানাগুলোতে প্রতিমাসে নির্ধারিত তারিখে ওপেন হাউজ ডে করিছ।
তিনি বলেন, আমরা মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। অপরাধী যদি পুলিশ বাহিনীরও হয়, তবে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। মনে রাখতে হবে মাদক একটা অভিশাপ। এটা সমাজ থেকে দূর করতে হবে। আর পুলিশী অভিযানের সাথে সামাজিক প্রতিরোধ একত্রিত হলেই সমাজ থেকে সকল অপরাধ দূর করা সম্ভব।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মোকতার হোসেন-পিপিএম (সেবা), উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) মোঃ খায়রুল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্বাস উদ্দিনসহ বাস-মাহিন্দ্রা মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যবৃন্দ। সভা শেষে টার্মিনাল এলাকায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দূর্নীতি, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও ইভটিজিংসহ যে কোন অপরাধ প্রতিরোধে তথ্য বা অভিযোগ বক্স স্থাপন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম (বার)।
এসময় তিনি বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের যে কোন কর্মকর্তার কাছে যে কোন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। আমরা সবার অভিযোগ শুনতে চাই। এজন্য কাউকে হ্যাট-টুপিওয়ালা হওয়ার প্রয়োজন নেই, লুঙ্গি পড়া হলেও হবে। অর্থাৎ সমাজের সর্বোস্তরের মানুষ আমাদের কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরতে পারবেন। বিশেষ করে আমার দরজা সবার জন্য খোলা, আমার সামনের চেয়ার বসার অধিকার সবার সমান।
তিনি বলেন, এর বাহিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, মোবাইল ফোনে , ই-মেইলে ও অভিযোগ জানাতে পারেন। আর এখন পরিচয় গোপন রেখেও এই অভিযোগ বক্সে তথ্য দেয়া যাবে। আমরা সকল তথ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। তিনি বলেন, তথ্য হচ্ছে আমাদের মূল শক্তি। আমরা যতো তথ্য দিয়ে সমৃদ্দশালী হবো, ততো আমরা শক্তিশালী হবো। যে কোন অসঙ্গতি আমাদের জানান