এম এ মোতালিব ভুইয়া ঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ গত ১৬ জুন থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। বন্যার পানির গতি এতটা ভয়াবহ ছিল যে উপজেলার প্রায় ৪৭৯টি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয় আর জীবন বাঁচাতে ঘর বাড়ি ছেড়ে কোনো রকম প্রাণ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠে মানুষ। তাদের মধ্যে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৪৭৯টি পরিবারের জন্য ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করার লক্ষ্যে ৪৭৯টি পরিবারের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৫৭টি পরিবারের জন্য ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনুদান বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুদানের টাকা বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান শেখ আবুল হোছাইন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভুইয়া, থানার এস আই সুপ্রাংশু দে দিলু,ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম,যুগ্ম সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম রবিন,ইউপি সদস্য আল আমিন,আব্দুল কাদির ফালান, রাশিদা বেগম, ছনোগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাশেম প্রমুখ
বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান শেখ আবুল হোছাইন জানান, বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানভাসি মানুষের দুর্গতি পিছু ছাড়ছে না।ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় অনেকের বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে। হাওর পাড়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনরায় নির্মাণের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, দোয়ারাবাজারে ভয়াবহ বন্যায় প্রতিটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।তারা যাতে পুনরায় ঘর বানিয়ে বসবাস করতে পারেন সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলার ৪৭৯টি পরিবারকে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।