রোকনুজ্জামান সবুজ, জামালপুর ঃ
সারা দেশের ন্যায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলা মোট ২১১টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব চলছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয়া দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডবে র্যাব,পুলিশের পাশাপাশি, আনসার ভিডিপিসহ গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিয়ে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তা’ছাড়া আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বাড়তি টহলসহ পাঁচ স্তরের নিঃছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন (পিপিএম বিপিএম বার)। পূজা মন্ডপই বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। মহা ধুমধামে ষষ্টীপূজার মধ্য দিয়ে দেবী বোধনে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসব। ঢাকে পড়ছে কাঠি, বাজছে কাঁসি, শঙ্খ ধ্বনি আর উলু ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে মন্ডপগুলো। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি মন্ডপে। দেবীকে স্বাগত জানিয়ে আরাধনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভক্তবৃন্দ। ধূপ আর আগরবাতির সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে উঠেছে মন্ডপের আঙিনা। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে মঙ্গলবার কিন্তু বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই ধর্মীয় উৎসব সমাপ্ত হবে। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয়া দুর্গোৎসবের পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে আরতী। আরতী চলাকালে সকল ধর্মের লোকজনের পদচারনায় উৎসবটি যেন সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গোৎসবে পরিণত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর রায় জানায়, পূজা মন্ডপগুলোতে স্থানীয় প্রসাশনের কঠোর নজর দারী রয়েছে । জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় ৬২টি,সরিষাবাড়ী ৪৫টি,মাদারগঞ্জ ২৭টি,দেওয়ানগঞ্জ ২৫টি,ইসলামপুর ১৯টি, মেলান্দহে ১৮টি এবং বকসিগঞ্জ ১৫টি। সারা জেলায় মোট ২১১টি দূর্গাপূজা উদযাপন হতে যাচ্ছে। এদিকে প্রতিটি পুজার মন্ডবে ৫শ কেজি করে সরকারী চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক ।