নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমজম হাসপাতালের গাইনী ডাঃ ফয়জুর রহমানের অপচিকিৎসার ফলে নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং স্ত্রীর স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে। ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মাহবুব আলমের পুত্র মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
আনিসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী রোকসানা আকতার চেক-আপ করান ডাঃ ফয়জুর রহমানের কাছে। ১৯ ডিসেম্বর ২৪ইং তারিখে তাহার স্ত্রীর প্রসবব্যাথা হলে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাঃ ফয়জুর রহমান স্ত্রীকে চেকআপ করে নিজেই তৎক্ষনাৎ আল্ট্রা করে রিপোর্ট প্রদান করেন এবং বাচ্চার ওজন ৩ কেজি ৫৩৮ গ্রাম হয়েছে। বাচ্চা প্রসবের পরে জানতে পারি, বাচ্চার ওজন হয় ৫ কেজি। ৫ কেজি ওজনের বাচ্চাকে নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে তার বাচ্চার পুরো শরীর আঘাত পায়। বাচ্চাকে চিকিৎসার জন্য চমেকে রেফার করেন। হাসপাতালে পৌছার কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি আমার নবজাতক শিশু পৃথিবীতে নেই।
তিনি আরো বলেন, রাতে যখন আমার স্ত্রীকে লেবার রুমে নিয়েছে; আমার স্ত্রীর ভাষ্যমতে ডাক্তার ফয়েজুর রহমান এর উপস্থিতিতে আয়া দ্বারা জোর পূর্বক পা দিয়ে পুশ করে বাচ্চাকে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। এভাবে জোর পূর্বক বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে আমার বাচ্চাকে বিভৎসভাবে আঘাত করে এবং আমার স্ত্রীকে মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে; ফলশ্রুতিতে আমার স্ত্রী দীর্ঘ ১৫ দিন যাবত চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। আমার বাচ্চার ডেলিভারিকালীন সময়ে নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে জটিলতার সম্মুখীন হলেও ডাঃ ফয়েজুর রহমান আমাকে অবগত করেননি এবং একবারও আমাকে সিজারের জন্য পরামর্শ দেননি; বরং তাহার মতো করেই যাচ্ছেতাই ভাবে ডেলিভারি করান।
আমার নবজাতক শিশু হত্যার বিচার চাই; ডা: ফয়েজুর রহমান এবং জমজম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই।