হাছান মাহমুদ সুজন, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতাঃ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ফের ১০দিনের ব্যবধানে বেপরোয়া লবন ভর্তি ট্রলির চাকার নিচে চাঁপায় পড়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গার্লস স্কুলের ২০২১ শিক্ষা বর্ষের ১ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী জায়রিন সোবাহ(৮) এর মৃত্যূ হয়েছে।
রবিবার(১০জানুয়ারি) সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় কুতুবদিয়া আজম সড়কস্থ উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নিহত জায়রিন সোবাহ কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা এবং একই ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক কাইছারুল ইসলামের বড় মেয়ে।
ঘটনাস্থলে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লেমশীখালী ইউনিয়নের এহক পাড়ার ০১ নাম্বার ওয়ার্ডের মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মোঃ আরিফের মালিকানাধীন ট্রলিটি মালিক নিজেই ড্রাইভিং করে উত্তর ধূরুং নাথ পাড়া এলাকা থেকে লবণ বহন করে ধূরুং ঘাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তর ধূরুং ইউপি পরিষদ বরাবর পৌঁছালে সেথায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোবাহ রাস্তা পারাপারের সময় তৎমধ্যে দ্রুত গতীতে আসা বেপরোয়া চালকের গাড়ির চাঁপায় পড়ে ঘটনাস্থলে শিশুটি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে সি.এন.জি যোগে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনার বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জুয়েল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,,উত্তর ধূরুং ইউপি পরিষদের সামনে ০৮ বছরের এক স্কুল ছাত্রী গাড়ি চাঁপায় নিহত হয়েছে৷খবর পেয়ে সাথে সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি থানায় জব্দ করেছি।তবে গাড়ির ড্রাইভার কিংবা হেলপার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।আমরা লাশ ময়না তদন্তে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাচ্ছি।পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে৷ এখনো পর্যন্ত লাশ কুতুবদিয়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান,,আজম সড়কটি যেন অবৈধ ট্রলি,মাহিন্দ্রা মালবাহী গাড়ি গুলো দখলে নিয়েছে।এ সড়ক দিয়ে অভিভাবকেরা ছেলে মেয়েদের স্কুল, কলেজ,মকতবে পাঁঠাতে হিমশিমে পড়ে প্রতিনিয়ত।অাজম সড়কে অদক্ষ, অযোগ্য,কোন প্রকার বৈধ লাইসেন্স বিহীন সি.এন.জি,ট্রলি,মাহিন্দ্রা গুলো প্রায় সময় চলাচলে পথচারীদের হুমকির মুখে পেলে দেয়।অতিরিক্ত মালামাল বহন করে গাড়ি গুলো দ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতেছে।৷
এসব অবৈধ ইঞ্জিন চালিত গাড়ি গুলো চলাচল বন্ধ করার লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী রাখেন।