ঢাকাশুক্রবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

কলাপাতায় ভিক্ষুক সেজে ব্যতিক্রমী বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৪২ অপরাহ্ণ

Link Copied!

রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ী এলাকায় মহান বিজয় দিবসে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন স্মৃতিকে বুকে লালন করে তা ধরে রাখতে কলাপাতায় সারা শরীর মুড়িয়ে ভিক্ষুক সাজার মাধ্যমে এই উদ্‌যাপন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে সীমান্তের ওপারে অবস্থান নেয় বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। বাঙ্কার খনন করে মুক্তিযোদ্ধাদের মারার জন্য প্রস্তুত থাকে ঘাতকরা। এছাড়া টহল দিতো তারা। এ অবস্থায় নানা রুপ ধারণ করে তথ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার লোকজন খবর পৌঁছাতো ওপারের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে।

এর মধ্যে অনেকেই কলাপাতা মুড়িয়ে ভিক্ষুক সেজে ভিক্ষা করতো আর পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের অবস্থান চিহ্নিত করে খবর পৌঁছাতো মুক্তিযোদ্ধাদের। একই সঙ্গে খাবার জোগাড় করতো। এসব খবরে নিশ্চিত হয়ে গেরিলা যুদ্ধে এসে অনেক পাকিস্তানি সেনা ও বিহারিকে হত্যা করে এই এলাকা শক্রমুক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সিঙ্গাবর্ণা ইউনিয়নের শয়তান বাজার, বাবলাকোনা, হারিয়া কোনা এলাকায় মহান বিজয় দিবসে কলাপাতায় মুড়িয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে তা রান্না করে খাওয়ার কর্মসূচি পালন করে আসছে।

এ বছরও এমন আয়োজন করা হয় ওই এলাকায়। পরবর্তীতেও এ ধরনের আয়োজন চলবে বলে জানান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জিএম।

এলাকার এক গৃহিনী সালমা বেগম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই পাগল সেজে ভিক্ষা করতো, আর খবর নিয়ে মুক্তি ক্যাম্পে পৌঁছাতো। তাই ১৬ ডিসেম্বরে পাগল সাইজা ভিক্ষা করতে আহে। আমরা চাইল, টেহা দেই।’

কাঞ্চন মারাক নামের এক যুবক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কলাপাতায় মুড়িয়ে ভিক্ষা করবার আইতো, আর খবর নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দিতো। আর চাল ডাল নিয়ে খাইতো। পরে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের বাড়ির কাছে একজন বিহারিকে মাইরা ফেলায়। অন্য বিহারিদেরও মারে। এরপর থেকেই বিজয় দিবসে এ আয়োজন করে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় নানাভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতাম। খেতকামলা সাজতাম, ভিক্ষুক সাজতাম, পাগল সাজতাম। তথ্য নিয়ে গিয়ে হামলা করতাম। গারো পাহাড়ে জঙ্গল আছিল, এখানে খুব রিক্স ছিল।’

আরও পড়ুন

মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে ভুমিকম্প

কক্সবাজারের নতুন ইউএনও মিস তানজিলা তাসনিম

‎শান্তিগঞ্জের আস্তমায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেনের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা ‎ ‎

‎শাল্লায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৫ উদ্বোধন,আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরণ ‎

১২ বছর পর মাস্টার্সের ফল প্রকাশ : সিজিপিএ ৪ পেয়ে প্রথম শিবির নেতা

কুবিতে বাংলা বিভাগের আয়োজনে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন

সুনামগঞ্জ–৫ আসনে মনোনয়ন বঞ্চনা ঘিরে আলোচনা: নীরব মিজান চৌধুরীকে ঘিরে নতুন সমীকরণ?

গাইবান্ধার বোয়ালী ইউনিয়নে কাবিটা প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম সিডিউল দেখতে চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা

‎সুনামগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল বাসারের ইন্তেকাল,দাফন সম্পন্ন ‎ ‎

মাদারীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকের যোগদান

বাউলদের ওপর হামলা করা উগ্র ধর্মান্ধদের কাজ: মির্জা ফখরুল

আজ আলিফ হত্যার এক বছর : এখনো আলোর মুখ দেখেনি মামলার রায়