মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ–শ্রীমঙ্গল) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক গতিশীলতা দেখিয়েছেন। ১৯৭৭ সালের ৫ মে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানীগাঁও গ্রামের এক সম্মানিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুল খালেক ছিলেন একজন সুনামধন্য শিক্ষক, যিনি শিক্ষাজগতে ও সমাজে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সিলেট মহানগর শিবিরের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী। নির্বাচনী এলাকায় তিনি ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করছেন এবং উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ ভিশন তুলে ধরছেন। নির্বাচন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব নিউজ ভিশনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্তৃত ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ বছর প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য পদে লড়ছেন তিনি, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রফিকুল ইসলাম জসিম।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আপনার রাজনৈতিক যাত্রার শুরু কিভাবে হয়েছিল?
এডভোকেট আব্দুর রব: ধন্যবাদ আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে যারা দেখছেন তাদেরও ধন্যবাদ। আমি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত এবং কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল সংসদীয় এলাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।
ছাত্রজীবন থেকেই আমি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, এবং পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত হই। বর্তমানে আমি সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ছোটবেলা থেকেই মানুষের কল্যাণের স্বপ্ন দেখেছি—বিশেষ করে আমাদের এলাকার অবহেলিত মানুষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল প্রবল।
আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই আমি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি এবং মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। ইনশাআল্লাহ, এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আপনি একজন এডভোকেট এবং রাজনীতিবিদ—এই দুই চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলাচ্ছেন?
এডভোকেট আব্দুর রব: দেখুন, বিগত প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর প্রচণ্ড নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে। একইসাথে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক নেতৃবৃন্দও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি—মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হচ্ছে রাজনীতি, আর মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্র হচ্ছে আইন পেশা।
আইন পেশায় থেকে আমি অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি, আদালতে তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করেছি। অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে থেকেও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিয়েছি।
রাজনীতি ও আইন—এই দুই অঙ্গনেই মানুষের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব, যদি আমরা সৎ উদ্দেশ্য ও সঠিক ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাই। আমি আশ্বস্ত করছি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দুই ক্ষেত্রেই সক্রিয় থেকে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আপনি জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কীভাবে দেখছেন?
এডভোকেট আব্দুর রব: দেখুন, দীর্ঘ সাড়ে ১৬-১৭ বছর আমরা এক ভয়াবহ রাজনৈতিক জঞ্জালে ছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তঝরা বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। আগে যেখানে কথা বলার সুযোগ ছিল না, এখন সেখানে মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আমাদের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল এলাকায় স্বাধীনতার ৫৪/৫৫ বছরে সঠিক প্রতিনিধিত্ব পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন যারা এখানে পাঁচবারের বেশি নির্বাচিত হয়েছেন, তারা মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। জনগণ এখন তাদের বর্জন করেছে।
পাঁচ আগস্টের এই বিজয়, জুলাই বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে এসেছে। এখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই মাঠে-ময়দানে বড় ভূমিকা পালন করেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আমাদের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ শহীদ হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন, নির্যাতন ও জুলুম সহ্য করেছেন। বলা যায়, আমরা দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর একটি।
এখন বাংলাদেশের সর্বত্র—বিশেষ করে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে—মানুষ আশা করছে যে একজন জনদরদী, কল্যাণকামী, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সক্ষম নেতা উঠে আসবেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের অধিকার ও স্বপ্ন পূরণের জন্য যদি আমরা সঠিকভাবে কাজ করি, তাহলে জনগণ আমাদেরকেই গ্রহণ করবে।
অনেকে বলেন, এই এলাকা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। কিন্তু আমি লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা এবং বাগান এলাকার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে বলছেন—তাদের এতদিন প্রতারণা করা হয়েছে। যদি আমরা পরিকল্পিত ও সৎভাবে মাঠে-ময়দানে কাজ চালিয়ে যাই, তাহলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখানে বিজয়ী হবে—এটাই আমার প্রত্যাশা।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আপনার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন উন্নয়নের কথা রয়েছে। সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন?
এডভোকেট আব্দুর রব: আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলেছেন। আমি প্রায় সময় আমার বক্তৃতা ও কথাবার্তায় এটি উল্লেখ করি। এ বিষয়ে যারা এখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের কাছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিশেষ করে কমলগঞ্জ–শ্রীমঙ্গলের অনেক বাগান আছে, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার—শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান—সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেই। অনেক বাগানে শিক্ষার মানদণ্ড অপর্যাপ্ত, চিকিৎসা সেবা নেই, স্যানিটেশন ব্যবস্থাও দুর্বল। আমি অনুরোধ করব—ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হলে, মানুষের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষার ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করব।
চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিশেষভাবে মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিকদের মজুরি, বোনাস, ছুটি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া এলাকায় পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা বিবেচনা করে নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির উদ্যোগ নেব।
হাজার হাজার শ্রমিককে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং তাদেরকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থায় কাজে লাগিয়ে এলাকার জনসম্পৃক্ত কার্যক্রম বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
আমি ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু করেছি এবং সরকারের কর্মকর্তা ও বেসরকারি অংশীদারদের আহ্বান জানাচ্ছি। এই সমস্ত উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা বাগান ও বস্তিবাসীদের জন্য একটি সুন্দর ও কার্যকর সমাজ গড়ে তুলতে পারব ইনশাআল্লাহ।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আগামী নির্বাচনে সুস্থ ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
এডভোকেট আব্দুর রব: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যেই জাতীয় সমাবেশের মাধ্যমে সাত দফা দাবি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা। যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা, প্রশাসনিক সংস্কার করা এবং একটি প্রকৃত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। পাশাপাশি নির্বাচন কাঠামোকে আরও সুসংহত করা।
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা গেলে একটি সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। কিন্তু যদি দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত না হয়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হয় বা সংস্কারের কাজ গতিশীলভাবে না এগোয়, তাহলে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্ক্ষা আমাদের রয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানাচ্ছে, যাতে সব রাজনৈতিক দল সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব পেতে পারে। আমরা কালো টাকা, দুর্নীতি ও রাহাজানির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে কাজ করব।
আমি দেশবাসীসহ আমাদের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের জনগণের সহযোগিতা, মতামত ও প্রত্যাশা কামনা করছি। সবার সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ আমরা এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে সক্ষম হব।
রফিকুল ইসলাম জসিম: রাজনৈতিক সহিংসতা ও প্রতিহিংসামূলক মামলার মতো চ্যালেঞ্জগুলো আপনি মোকাবিলা কীভাবে করবেন? কৌশল কী আপনার?
এডভোকেট আব্দুর রব: আপনি দেখুন, আমরা দেখেছি—ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অসংখ্য নির্যাতনমূলক ও নিপীড়নমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে বিশেষ করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। আমরা মানুষের কল্যাণে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
যারা এই প্রতিশোধমূলক ও প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করবেন, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। আমি আপনার মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলতে চাই—বিশেষ করে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি এলাকা আমাদের এলাকা, প্রতিটি বাড়িঘর আমাদের বাড়িঘর। আমি প্রতিটি বাড়িঘরকে আমাদের নিজেদের বাড়িঘর হিসেবে রূপান্তরিত করতে চাই। এখানে কোনো ধরনের মেজরিটি–মাইনরিটি ধারণা নেই। আমরা সবাই এই এলাকার নাগরিক, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এই ধারণাকে সামনে রেখে আমরা এলাকাকে বিনির্মাণ করার চেষ্টা করব।
কোনো ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা সুচারুভাবে ভূমিকা পালন করব। ইতিমধ্যেই আপনি বলেছেন—আমাদের এলাকায় যারা চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত, তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধে জনগণ তাদেরকে আবারও প্রত্যাখ্যান করবে—এই আশা আমরা ব্যক্ত করছি।
রফিকুল ইসলাম জসিম: সর্বশেষ তরুণ ভোটার বা নবীন ভোটারসহ সকল ভোটারদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?
এডভোকেট আব্দুর রব: আমি সকল ভোটারদের আহ্বান জানাব—৫ আগস্ট ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি, সেই বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করেন, সহযোগিতা করেন এবং পাশে দাঁড়ান, তবে আমরা এই দেশকে একটি উন্নত, মানবিক ও বসবাসযোগ্য বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করব।
বিশেষ করে আমাদের এই কমলগঞ্জ–শ্রীমঙ্গল এলাকা, যেখানে চা শ্রমিক ও হিন্দু অধ্যুষিত বহু মানুষ বসবাস করেন—তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং একটি সুন্দর, বসবাসযোগ্য এলাকা গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
তরুণ ভোটারদের উদ্দেশে বলতে চাই—আমি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনবিরোধী আন্দোলনে প্রথম সারিতে কাজ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ে রাজপথে ছিলাম, ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর ও কেন্দ্রীয় শিবিরের দায়িত্ব পালন করেছি। পৃথিবীর নানা দেশ ভ্রমণ করে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার এলাকাকে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করার চেষ্টা করব।
সব মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আমি কমলগঞ্জ–শ্রীমঙ্গলকে একটি মডেল এলাকায় রূপান্তর করতে চাই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে সহায়তা করবে। কারণ জামায়াত ইসলামী এই গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী আন্দোলনে এবং গণঅভ্যুত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে, যা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।
আমাদের সম্মানিত আমিরে জামায়াত, সিলেটের কৃতী সন্তান ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ। আপনি দেখেছেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অমুসলিম সম্প্রদায়ের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এতে যোগদান করছে এবং জামায়াতে ইসলামীতে ভূমিকা পালন করছে। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জামায়াতে ইসলামিকে মানুষ গ্রহণ করছে। আমি আশা করব, জামায়াতে ইসলামী আগামী দিনের নেতৃত্বে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশকে একটি আলোকিত, সুন্দর বাংলাদেশে রূপান্তর করতে ভূমিকা পালন করবে।
রফিকুল ইসলাম জসিম: আচ্ছা, সময় দেওয়ার জন্য নিউজ ভিশন পরিবার থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এডভোকেট আব্দুর রব: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আজকে আমার এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। আপনার মাধ্যমে যারা এই অনুষ্ঠানটি দেখছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ।