সোহানুর রহমান
বুড়ির দোকানের রসমালাই, ছানার পোলাও, ছানার পায়েসের এবং মিল্লিভাতের জন্য বিখ্যাত জামালপুর জেলা। জেলার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরী সংগঠন জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। এ পরিষদ থেকে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা উপলক্ষে চড়ুইভাতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে শুক্রবার এক সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মিলনমেলার আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এনএসআই ফিল্ড অফিসার মাহমুদুল হাসান। তিনি শিক্ষার্থীদের সর্বাবস্থায় সহোযোগিতায় আশ্বাস প্রদান করেন।
জামালপুর জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি তানজিম হাসান অনিক বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জামালপুরের শিক্ষার্থীদের প্রিয় সংগঠন জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। আমরা সর্বদাই চেষ্টা করি সবসময় আমাদের বন্ধন অটুট রাখতে। একসঙ্গে মিলেমিশে জেলার ভাইবোনদের সমস্যা সমাধান করতে।
জামালপুর জেলা ছাত্র কল্যাণের সাধারণ সম্পাদক তানজিম রহমান জয় শিক্ষার্থীদের সহোযোগিতা ও কল্যাণ কাজের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা উপবৃত্তি ব্যাবস্থা করবো যেন গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে। সর্বোপরি আমরা চেষ্টা চালাবো আমরা যেন জামালপুর জেলার কল্যাণে এগিয়ে আসতে পারি।
মিলনমেলা ও চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানে মেয়েদের জন্য বালিশ খেলা, ছেলেদের জন্য মোরগলড়াই ও ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। খেলাধুলা শেষে সপরা খেলোয়াড় নির্বচন ও পুরস্কার বিতরন করা হয়। এছাড়া জামালপুর জেলার স্মরণে জেলার বিখ্যাত খাবার মিল্লিভাত খাওয়ার আয়োজন সবাই একসঙ্গে খাবার গ্রহন করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানের আকর্ষণ বাড়াতে ছোট বড় সকলের জন্য আয়োজন করা হয় র্যাফেল ড্র। এই ড্র’তে দশটি আর্কষণীয় উপহার প্রদান করা হয়।
সবশেষে জামালপুরের আঞ্চলিকতা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাচ, গান দিয়ে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সবাই নেচে গেয়ে এবং পুরস্কার নিয়ে মিলনমেলা থেকে নিজ গন্তব্য ফেরেন।
প্রসঙ্গত, জামালপুর হস্ত শিল্পের জন্যও বিখ্যাত। ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর। দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা(যমুনা) রয়েছে জামালপুরে। জামালপুর বাহারি রকমের খাবারের জন্য বিখ্যাত। জামালপুরের মিল্লি নামের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যার জন্য সারাদেশে জনপ্রিয়। যা মূলত মাত্রাতিরিক্ত মসলাযুক্ত গরুর নিহারী।