========================
সাজেদুল ইসলাম টিটু,পাঁচবিবি(জয়পুরহাট)সংবাদদাতাঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের আরজিঅন্তপুর গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল আর কখনো ভিক্ষা করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ছেলে সন্তান থাকা সত্তেও তার খোঁজ খবর না নেওয়া দ্বিতীয় স্ত্রীর আশ্রয়ে থেকে ভিক্ষা করে এতদিন সংসার চালাতেন। প্রায় শতবর্ষী এই বৃদ্ধ নিজে ঠিকমত চলতে না পারলেও লাঠিতে ভর দিয়ে প্রতিদিন শক্রবার জুম্মার দিনে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় বায়তুন নূর জামে মসজিদের গেটে ভিক্ষা করতেন। বিষয়টি মানবতার দেওয়াল এর উদ্যোক্তা দেওয়ান রাসেলের দৃষ্টিতে আসলে তিনি বৃাদ্ধর খোঁজ খবর নিতে থাকেন।
ঐ গ্রামে গিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধার বাড়ী নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে। সেখানে তার প্রথম স্ত্রীর চার সন্তান থাকলেও তার কোন খোঁজ খবর নেয় না। পরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উপায় না পেয়ে স্বামীকে নিয়ে আরজি অন্তপুর গ্রামে ভাইয়ের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এই বয়সে কেন ভিক্ষা করেন জানতে চাইলে বৃদ্ধার স্ত্রী বলেন, নিজের জমি জমা নেই, ভিক্ষা না করলে কি খাব। আমার স্বামী এই এলাকার ভোটার না হওয়াই কেউ সাহায্য সহযোগিতা করে না। বয়স্ক ভাতা কার্ডের যে টাকা পায় সেই দিয়ে চলে না। তাই বাধ্য হয়ে এই পেশায় নেমেছি। চলার মত কোন পুঁজি পেলে এই পেশা ছেড়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে মানবতার দেওয়ালের উদ্যোক্তা দেওয়ান রাসেল বৃদ্ধার পড়নের কাপর, কম্বলসহ ছোট্ট একটি ব্যবসা করার জন্য কিছু পুঁজি হাতে দিয়ে ভিক্ষার পরিবর্তে ব্যবসা করে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে জীবনের বাঁকী সময় আর কখনও ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় জড়াবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
দেওয়ান রাসেল, এই প্রতিবেদককে বলেন, সমাজের অনেকেই দায়ে পরে এই পেশায় যুক্ত হয়েছে। বিত্তবানরা যদি এদের পাশে এসে দাঁড়াই তাহলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিবে।