মোঃ ফিরোজ খান
আমরা বিশ্বের কাছ থেকে বারবার ছিনিয়ে নেই বিশ্ব পুরুস্কার,তারই প্রমাণ আবার ও পেলাম তুরস্কের মাটিতে। আমরা পারি আমরা পারবো কোরআনের আলোয় আলোকিত করতে বিশ্ব জগতকে। মুসলিম সমাজের ঘরে ঘরে কোরআনের মিষ্টি মধুর বাণী ছড়িয়ে দিতে এবারও তুরস্কের নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ।
এ যেনো নতুন বিশ্বকে নতুন রূপে রূপান্তরিত করা। বাংলাদেশ আজ আর কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই। বিশেষ করে কোরআনের হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি যেনো বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে।স্থানীয় সময় গত বুধবার ২০২৪ (৩০ অক্টোবর) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপের হাত থেকে ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। আমরা সত্যিই গর্বিত, আমরা কোনো দিক থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। হাফেজ মুয়াজ মাহমুদকে অভিনন্দন ও প্রাণঢালা ভালোবাসা রইলো। তার মা, বাবা ও গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ রাজধানীর মিরপুর-১-এর মারকাযু ফয়জুল কুরআন আল ইসলামীর কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী। এই একই মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ ফারহান খান তার স্বপ্ন সে ও একজন আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত অর্জন করতে চান। আমরা ফারহানের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা করবো যেনো মহান আল্লাহ তায়ালা ফারহানের আশা পূরণ করেন।
এর আগে গত ২১ আগস্ট সৌদি আরবের মক্কা নগরীর পবিত্র মসজিদুল হারামে অনুষ্ঠিত বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। আমরা মাদ্রাসার সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং দোয়া করি যেনো এভাবেই প্রতি বছর একজন করে হাফেজ আন্তর্জাতিক সন্মান অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত গত ২৮ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে তুরস্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব হয়। ওই সময় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ দেশের শতাধিক মেধাবী হাফেজের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আমরা হাফেজ মুয়াজ মাহমুদের জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা যেনো সবসময় সুস্থ্য ও ভালো রাখেন।