ঢাকাবুধবার , ২৫ জুনe ২০২৫
  1. সর্বশেষ

সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন টেস্ট (ক্যাট) ব্যাসিক এবং অ্যাডভান্স

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

Link Copied!

স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৬টি কিন্তু বর্তমানে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫০টি যার মধ্যে বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। এগুলোর মধ্যে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করে এমন ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তির আসন রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার যার বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা দেন লাখ লাখ শিক্ষার্থী।
এমন বাস্তবতায় অসহায় ছুটে বেড়ানো কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি ও আর্থিক খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় বুয়েট, ঢাবি, রাবি, চবি বা জাবি স্থুলবুদ্ধি লোকে ভরে যাবে এমন চিন্তা-ভাবনার সাথে আমি একমত নই। আমি বিশ্বাস করি কার্যকারি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের যে কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিলে ঠিকমতো পরিচর্যায় সে-ও উজ্জ্বল কার্যসিদ্ধি করতে পারবে। চলমান প্রক্রিয়ায় দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়; তারা পাস করার সুবাদে কখনও ভাবেনি এমন বিষয়েও ভর্তি হয়। নিজেদের পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না অধিকাংশ শিক্ষার্থীই।

চলমান পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সেশনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ায় অমানুষিক কষ্ট হয়। তার সাথে ৮/১০ টা ভর্তি পরীক্ষার জন্য ফর্ম কেনা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, বিশেষ করে গ্রামের দিনমজুর বা একজন শ্রমিক এর জন্য অনেক কষ্টের ব্যাপার। মেয়েদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতে নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ন। তাই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

বর্তমানে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পদ্ধতিতে দৃষ্টিগোচর হওয়ার মত কিছু সমস্যাও আছে। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে
– অসুখ বা দুর্ঘটনার একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার দিন অবর্তমান থাকলে তার জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
– বুয়েট শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করার জন্য যে পরীক্ষা নেয় তা অনেক উচ্চমান সম্পন্ন। এ পরীক্ষা পদ্ধতি কয়েক লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রয়োগ করানো সম্ভব না। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে শূন্যের কাছাকাছি নম্বর পাবে এমন শিক্ষার্থী সংখ্যাও নেহাত কম হবে না।
– ঢাবি যে স্ট্যান্ডার্ডে ভর্তি পরীক্ষা নেয় সে স্ট্যান্ডার্ডে ভর্তি পরীক্ষা নিলে সেখানে (১০-১৫)% শিক্ষার্থী পাশ মার্ক তুলতে পারবে।
– সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কন্সার্নে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করলে শিক্ষার্থী-বিশ্ববিদ্যালয় অনেক অনেক মিচ ম্যাচিং হয়ে যাবে।

তর্ক- বিতর্কের মধ্যেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অমানুষিক কষ্ট লাঘবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিকল্প নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত সমন্বিত পরীক্ষা জন্য আমার কিছু প্রস্তাবনা
– জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে এস এস সি এবং এইচ এস সি এর ফলাফল উপর।
– পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা হবে দু ধাপে;
১। সিএটি (সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন টেস্ট) বা ক্যাট ব্যাসিক
২। সিএটি (সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন টেস্ট) বা ক্যাট অ্যাডভান্স

> ক্যাট ব্যাসিক-এ বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি এবং নিজ বিভাগের চার বিষয় থেকে মোট ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হবে।
> ক্যাট ব্যাসিক-এ নির্দিস্ট নম্বর ( হতে পারে ৫০/৮০; এক বছরের সাথে পরের বছর ভ্যারি করতে পারে) এর উপরে যারা পাবে তারাই ক্যাট অ্যাডভান্স পরীক্ষা দিতে পারবে।
> ক্যাট অ্যাডভান্স-এ ইংরেজি এবং নিজ বিভাগের তিনটি বিষয়ে মোট ২০০ নম্বরের লিখিত প্রশ্ন হবে।

– ইউজিসির উদ্যোগে প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে যারা প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করে তাদের কাজ শেষ করবে।
– বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের অবস্থান, স্বাতন্ত্র্যতা ও স্বকীয়তা রক্ষার জন্য ক্যাট ব্যাসিক বা ক্যাট অ্যাডভান্স যেকোন একটির স্কোর স্ট্যান্ডার্ড ধরে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে। প্রয়োজনে নির্দিস্ট বিষয়ের ভর্তির জন্য নির্দিস্ট বিষয়ের নূন্যতম স্কোর শর্তও অ্যাড করে দিতে পারবে সেটা ক্যাট ব্যাসিক হোক বা ক্যাট অ্যাডভান্স।
– বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধা তালিকা তৈরির সময় এস এস সি এবং এইচ এস সি এর ফলাফল উপর ১০০ নম্বর রাখতে পারে সাথে নির্দিস্ট কিছু বিষয় ( যেমন সঙ্গীত, নৃত্য…) এর জন্য ভাইভা/ ব্যবহারিক নম্বর রাখতে পারে।

উপরে উল্লেখিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখতে পারে সুপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগন। বুয়েট, ঢাবি, রাবি, চবি বা জাবি নিজেদের সরিয়ে নয় বরং বৃহত্তর কল্যাণের জন্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাকে কিভাবে গঠনমুলক করা যায় এজন্য কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।

মোঃ আলিফ হাসান অভি
ক্রীড়া সম্পাদক, ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

157 Views

আরও পড়ুন

একাত্তরসহ সব ভুলের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির

অস্বচ্ছ শিক্ষার্থীকে ভর্তির সহায়তায় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার

নাজমুল হোসেন শান্ত: সমালোচনা ও প্রত্যাবর্তন

গাজায় ইসরাইলের ৭ সেনা নিহত

কাপাসিয়ায় কৃষকদের ‘পার্টনার কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত

তথ্য সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমাদের করণীয়

গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের বন্দোবস্ত দলিল থাকা সত্ত্বেও জমি ফেরত নিবে সরকার এমন খবরে দিশেহারা ভূমিহীন কৃষকরা

সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে হাত গুটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল বিস্ফোরণ

শান্তিগঞ্জে দরগাপাশা ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা, ত্যাগীদের মূল্যায়নের অঙ্গীকার

মেলান্দহে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কে বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ 

ইসলামপুরে শীলদহে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন