—————————
জৈন্তাপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুঘর্টনায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা-কে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতায় কারনে উত্তোজিত ছাত্র-জনতা কর্তৃক জৈন্তাপুর হাসপাতালে ভাংচুর করা সহ সরকারি গাড়িতে অগ্নী সংযোগের ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন করেন জৈন্তিয়া ১৭ পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ১৭ পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর আবুল মৌলা চৌধুরী’র নেতৃত্বে হাসপাতালের ভাংচুর করা এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ইন্তাজ আলী, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী, ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহেদ আহমদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, প্রবীণ মুরব্বী আব্দুস শুক্রুর, নিজপাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী সম্রাট, সমাজসেবী হায়দর আলী সহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিগণ।
হাসপাতাল পরিদর্শন কালে নেতৃবৃন্দ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মমি দাস সহ অন্যান্য চিকিৎসক, নার্সদের সাথে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরধার ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক করার আহবান জানান।
প্রতিনিধি টিমের নেতৃবৃন্দ সকাল ১১টায় উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: সাজেদুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার কানাইঘাট (সার্কেল) অলক কান্তি শর্মা, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম)’র সাথে পৃথক ভাবে একটি বৈঠক করেন।
এই ঘটনার বিষয়ে জৈন্তিয়া ১৭ পরগনার পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: গত ১৯ জানুয়ারি-২০২৪ইং শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই মর্মান্তিক সড়ক দুঘর্টনা ঘটে
সিলেট তামাবিল মহাসড়কের বাংলা বাজার সংলগ্ন লক্ষীপুর এলাকা নামক স্থানে। প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদের পানিতে পড়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের (নিজপাট) ইউপি’র জৈন্তাপুর সরকারি স্কুল সংলগ্ন তোয়াসি হাটির বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা নেহাল পাল (২৫), কমলা বাড়ির জুবায়ের আহসান (২৪) ,বড় পুকুরপাড় পানিয়ারা হাটির মেহেদী হাসান তমাল (২২) ও জাঙ্গাল হাটির আলী হোসেন সুমন (২৩) মৃত্যুবরণ করেছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সহ স্থানীয় জনতা তাদের-কে উদ্বার করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সামন্য সময়ের মধ্যে চার বন্ধু মৃত্যুবরণ করেন।
তাদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ কয়েক শত ছাত্র-জনতা উপস্থিত হন।
নিহতের স্বজন সহ বন্ধু-বান্ধব হাসপাতালের জরুরী এম্বুলেন্স সার্ভিস ও চিকিৎসা সেবায় ডাক্তারের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ করে উপস্থিত ছাত্র-জনতার মধ্যে উত্তোজনা দেখা দেয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসক সহ অন্যান্য লোকবল সংকট থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ছাত্র-জনতা হাসপাতালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দুটি গাড়িতে অগ্নীসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত অন্তত ৩ শত জন-কে আসামী করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।