রাকিবুল আওয়াল পাপুল,
শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে শেরপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে আসামি করা হয় মাদ্রাসা শিক্ষক সুলতান মাহমুদ ও তাঁর সহোযোগি সিফাত আহমেদকে।
এর আগে শনিবার সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশ। মামলার পর আজ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। তিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হরিনধরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও জামালপুর কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইয়াছিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম। অন্যদিকে সিফাত আহমেদ স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ৫-৬ মাস আগে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সুলতান মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই শিক্ষার্থীর। সুলতানের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার পরও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে প্রায় দুই মাস আগে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেন।
ওই দিন শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার এক বাসায় নিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই আবারও ওই শিক্ষার্থীকে ওই একই বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁর বন্ধু ও মাদ্রাসা শিক্ষক সিফাত আহমেদের সহযোগিতায় আবারও ধর্ষণ করেন।
একইভাবে ওই ছাত্রীকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একই বাসায় নিয়ে এলে স্থানীয় লোকজন সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশে দেন। এ সময় পালিয়ে যান সিফাত আহমেদ। পরে এ ঘটনায় আজ সকালে রোববার সকালে শেরপুর সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ও সিফাত আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো:সফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
‘আমাদের আইন’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের শেরপুর জেলার সভাপতি মো. নূর ই আলম চঞ্চল বলেন, ‘সুলতান মাহমুদ একজন ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক। ওনার দুই জন স্ত্রী আছে। ধর্ষণের ঘটনায় আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছি। এরপর থানায় সোপর্দ করেছি। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’