বইমেলায় আসছে মেহেরুন নাহার মেঘলার প্রথম কাব্যগন্থ ” মেঘকাব্য ”
লেখালেখির মজাটা আমি ঠিক কোন বয়স থেকে পেতে শুরু করেছি, জানি না! খুব সম্ভবত ক্লাস থ্রি-ফোর হবে! তখন-তো এখনের মতো মোবাইলের নোটপ্যাডে ঢুকে মনের কথা লিখে ফেলা যেতো না যখন-তখন। লেখার জন্য তখন খুব একান্ত নিজের সময় বের করে লুকিয়ে লুকিয়ে ডায়রিতে লিখে রাখতে হতো। সেই ডায়রিও আবার লুকিয়ে রাখতাম কোনো এক গোপন জায়গায়; যেনো কোনোভাবেই তা দেখে না ফেলে কেউ, সেই ভয়ে। অথচ এখন হয়েছে তার একেবারেই উল্টো! মনের যেকোন কথা লেখার পরই এখন সাথেসাথে তা জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে সবাইকে। নিজের অনুভূতিগুলো ছড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে সবার মাঝে। আর অবাক হয়ে যাই যখন দেখি- আমার লেখা ভাবনাগুলো অন্য কারো মনকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে বা কোনো পাঠক বলছে- এ যেনো তার নিজেরই মনের কথা!
মিথ্যে বলব না, ভীষণ ভালো লাগে আমার তখন যখন কেউ এভাবে বলে। আর লেখার প্রতি ভালোবাসাটাও এভাবে গভীর হতে থাকে তখন, প্রতিদিন ।
নিজের লেখা নিয়ে ঠিক এভাবেই বলছিলেন লেখিকা- ‘মেহেরুন নাহার মেঘলা’। পাঠকদের উৎসাহ আর নিজের ইচ্ছার সম্মেলনে জন্ম নেয় তার জীবনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘মেঘকাব্য’ ; যা প্রকাশ পেতে যাচ্ছে এবারের একুশে বইমেলায় ‘আজব প্রকাশ’ থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোঃ সাদিতউজজামান , আজব প্রকাশ থেকে বইটির প্রি অর্ডারও চলছে ৩০% কমিশনে। এছাড়া রকমারিতেও প্রি অর্ডার চলছে, বইমেলায় আজব প্রকাশনী থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন স্টল নং- ৩৯২-৩৯৩
জীবনের গভীর উপলব্ধিগুলো নিয়েই লিখতে ভালোবাসেন এই কবি। তার সহজ সাবলীল ভাষার উপস্থাপন সহজেই মন কাড়তে বাধ্য করে পাঠকদের। শুধু ছন্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে গৎবাঁধা লেখা নয়, তার প্রতিটা লেখায় থাকে জীবনের ছোট-বড়ো কোনো না কোনো দ্বন্দ আবার কখনো তার সমাধানও। জীবনকে ইতিবাচক রুপে দেখতে ভালোবাসেন তিনি। তিনি আরও মনে করেন, জীবনের প্রতিটা ধাপ এবং প্রতিটা মুহূর্তই সুন্দর।
৮৮ পাতার বইয়ে মোট ৮৩ টি কবিতা থাকছে তার এই কাব্যগ্রন্থ- ‘মেঘকাব্য’ তে; যার প্রতিটা পাতা উল্টেই মুগ্ধ হতে এবং ভাবতে বাধ্য হবেন পাঠকরা- এমনটাই বিশ্বাস করেন বইটির প্রকাশক- ‘জয় শাহরিয়ার’।