নিজেস্ব প্রতিবেদক :
গাজীপুর মহানগরে রাজপথ কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির একটি পরিচিত নাম এস এম মোমিনুর রহমান। বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতাকে আন্দোলনমুখী নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে দেখছেন তার সহযোদ্ধারা। নেতাকর্মীদের মতে, আওয়ামী সরকারের সময় দমন-পীড়নের মধ্যেও মোমিনুর রহমান সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথে সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শুভ দাস জানান তিনি একসময় গাছা মেট্রো থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ছাত্রদলের রাজপথের কর্মসূচিগুলো ছিল সুসংগঠিত এবং লক্ষ্যভিত্তিক।
গাছা মেট্রো থানা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক – আবু ইসহাক মামুন বলেন, “যখন অনেকে রাজপথে নামতে দ্বিধা বোধ করতেন, তখন মোমিন ভাইয়ের নেতৃত্বে গাজীপুর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের বড় বড় কর্মসূচি সফল হয়েছে।” তারা আরও জানান, আলোচিত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছাত্রদলের মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই।
স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর সংগঠনের ভিত্তি মজবুত বলে জানান একাধিক ছাত্রনেতা। তাদের ভাষ্য, উত্তরা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচিতে মোমিনুর রহমান ছিলেন দৃশ্যমান। “তিনি শুধু পদে থাকা নেতা নন, রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়া এক আন্দোলনকর্মী,” — মন্তব্য করেন গাজীপুর মহানগরের এক ছাত্রদল নেতা।
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও মোমিনুর রহমানের সামাজিক ভূমিকা নিয়েও নেতাকর্মীরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তারা জানান, যখন কিছু নেতা গার্মেন্টস শ্রমিক দমন, চাঁদাবাজি, ঝুট ব্যবসার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ান, তখন মোমিনুর রহমান এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দলের ভেতরেই অবস্থান নেন।
গাছা থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী নাজমুল ইসলাম নেতারা জানান, “চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতাদের ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করে মোমিন ভাই ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এতে নেতাকর্মীরা বুঝেছে, দলীয় আদর্শ নিয়ে আপস করা উচিত নয়।”
নেতাকর্মীদের মতে, আন্দোলন-সংগ্রামে আপসহীনতা, সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতা এবং নৈতিক অবস্থান—এই তিনটি বৈশিষ্ট্য মোমিনুর রহমানকে গাজীপুরের রাজপথে একটি আলাদা অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। তারা বলছেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মোমিন ভাইয়ের মতো নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি।”