এম এম রুহেল জৈন্তাপুর থেকে।
৩০ মে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জৈন্তাপুরের হতদরিদ্র লৌহ কারিগর রবীন্দ্র চন্দ্র দেবের বাড়ীতে আসেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া। রবীন্দ্র এর পরিবারের অভাবের কথা শুনে এবার তাকে একটি দোকান কোঠার জন্য জায়গা বন্দবস্তের প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা নির্বাহী।
গত ১৫ই জুন ঈদ মৌসুমে উপজেলার কামারদের ঈদ ব্যস্ততায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পএিকায়। ” কামারের পেশার থেকেও ছেলেদের স্কুল কলেজে পড়াচ্ছেন রবীন্দ্র দেব ” এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহীর দৃষ্টগোচর হয়।
পরে সব শুনে তার পরিবারের সাথে উপহার সামগ্রী নিয়ে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। ঈদ পরবর্তী বন্যা সমস্যার কারণে সপ্তাহখানের পর এবার তার বাড়ীতে উপহার সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হলেন তিনি।
শনিবার ( ২২শে জুন) দুপুর ২:০০ ঘটিকায় তিনি রবীন্দ্র চন্দ্র দেবের তোয়াশিহাটি বাড়ীতে আসেন তিনি। এ সময় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করেন। পরে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে রনি দেব ও দশম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছেলে রুপম দেবের সাথে লেখাপড়ার খোঁজ খবর নেন।
পরে ত্রিশ বছর ধরে কামার পেশায় যুক্ত থাকা রবীন্দ্র চন্দ্র দেবের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা শুনে তার জন্য স্হায়ীভাবে উপজেলা পরিষদ সন্নিকটে একটি দোকানের জায়গা বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান তিনি। সেই সাথে তার বসতভিটার কাজ সংস্কারে দুই বান্ডেল ঢেউটিন দেয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। পরে তার স্ত্রীর ও সন্তানদের হাতে উপহারের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন তিনি।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, হতদরিদ্র রবীন্দ্র দেব চেলেন্জিং কামারের পেশায় থেকে দুই সন্তানের একজন অনার্স ও একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী শুনে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসি। দীর্ঘদিন তার দোকানের জন্য স্হায়ী কোন ভিটা না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ভিটার জায়গা ও বাড়ী সংস্কারের জন্য ২ বান্ডিল ঢেউটিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন দরিদ্র হয়েও লেখাপড়ার মূল্য বুঝা রবীন্দ্র চন্দ্র দেবকে সকলের অনুসরণ করা উচিৎ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর অন লাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও শুভ প্রতিদিনের প্রতিনিধি মঈনুল মুরসালিন রুহেল, দৈনিক ইত্তেফাকের জৈন্তাপুর প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম, দৈনিক জৈন্তাবার্তার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম বাবু সহ অন্যান্যরা।