কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে শামসুল হুদা লিটনঃ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গাছপালা কেটে কয়লা চুল্লির মাধ্যমে কয়লা তৈরি ও পরিবেশ দূষণের মাধমে জনভোগান্তি তৈরির অভিযোগে ৩০ নভেম্বর, রবিবার কাপাসিয়া উপজেলার পৃথক ২ টি স্থানে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পরিবেশ দুষনকারী ও জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী কয়লা চুল্লীগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়।
সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এ যৌথ অভিযানের সময় পুলিশ সদস্যবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের নরোত্তমপুর ও রায়েদ ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কয়লা চুল্লির দু’টি কারখানা ভেঙে ঘুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদুল হক এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনায় সঙ্গে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. রকিবুল হাসান ও কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কাপাসিয়া থানার পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্যরা।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন যাবত সবুজ বন থেকে কাঁচা কাঠ কেটে বিশেষ ধরনের চুল্লিতে পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিলেন। যার কোন বৈধতা নেই। এতে একদিকে যেমন বন্যপ্রাণীরা ঠিকানা বিহীন হয়ে বেড়িয়ে আসছে প্রকাশ্যে, তেমনি জীববৈচিত্র্যের উপর পরছে বিরূপ প্রভাব।
স্থানীয়রা জানান, অনুমতি বিহীন অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির স্তুপ আকৃতির বিশেষ ধরনের চুলা থেকে নির্গত বিষাক্ত ঝাঁজালো দূর গন্ধযুক্ত কালো ধুঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পরে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। অনেকে শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন।
উপজেলা সহকারী কমিশন ভূমি মো. নাহিদুল হক বলেন, পরিবেশগত দিক থেকে কাপাসিয়া অত্যন্ত সুন্দর। পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোন কাজ আমরা হতে দেব না, আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। আজকে একটি সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে অবৈধ কয়লা চুল্লির দু’টি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ভেঙে ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।