স্বর্ণালী আক্তার খাদিজা।
বাবা, সে তো আমার জীবন বৃক্ষের ছায়া, আমার খেলার সাথী। আমার হাসি, কান্না, সকল অনুভুতি প্রকাশের একমাত্র স্থান। আমার প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তরদাতা। বলা যায়, বাবা আমার জীবনের বিশ্বকোষ। বাস্তব জীবনে চলার পথ থেকে শুরু করে রূপকথার রাজ্য ঘুরে আসার একমাত্র সঙ্গী।
তোমার হাত ধরে সেই অচেনা পথ অনেক দিন চেনা হয়ে উঠে না বাবা। তোমার কোলে মাথা রেখে লম্বা সময় চাঁদের জোছনা দেখা
হয়ে উঠেনা। তোমার হাত ধরে কল্পনার রাজ্যে ঘুড়ে বেড়ানো, চাঁদের বুড়ির চরকা কাটাসহ রাজা-রাণী, রাক্ষস-খোক্ষসদের গল্প এখন আর কানে বাজে না। দিনভর ক্লান্তি অবসাদের বিপরীতমুখী প্রশান্তির সেই ডাকও অনেক দিন হলো শোনা হয় নাই। তোমার মধুর কন্ঠে “মা” ডাকও অনেক দিন কানে আসে না। তোমার হাতের একমুঠো ভাত অনেক দিন হলো খাওয়া হয়ে উঠে না। আমাদের কত শত স্মৃতি এখন আর স্মৃতি ব্যাংকে সঞ্চয় করা হয় না, বাবা। অনেক দিন হলো, দুচোখ ভরে তোমায় দেখাটাও হয়ে উঠছে না, বাবা।
ইচ্ছে করে, তোমায় আবার একবার ফিরে পাই। হাজারো স্মৃতিতে ভরে উঠবে অনুভুতির খাতা। হয়তো, এটা আমার স্বপ্নই দেখে যাবে। চিরন্তন সত্যকে কেউ মিথ্যা বানাতে পারে বলো! এই জনমে তোমায় আর নাই-বা পাই, আখিরাতে যে তোমার বুকে একটু ঠাঁই চাই। অদূরে তুমি ভালো থেকো বাবা। এটাই কাম্য।
শিক্ষার্থী, কদমরসূল সরকারি কলেজ।
ইকবাল/এসআর/ঢাকা।