মাসের ১০ তারিখ এলেই পরী-রাজের ঘরজুড়ে আরও বেশি করে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছর ১০ আগস্ট তাঁদের সন্তান রাজ্য যেন রাজ্যের আনন্দ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। এর পর থেকে প্রতি মাসের ১০ তারিখে সন্তানের আগমন উপলক্ষে কেক কাটেন, আনন্দ করেন তাঁরা। তারিখটি তাঁদের জন্য অন্য রকম আনন্দের। ১০ অক্টোবর রাজ্যের বয়স দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। এদিন রাতে কয়েকজন অতিথিসহ বাসার সবাই মিলে ছেলের জন্য কেক কেটেছেন বাবা রাজ ও মা পরীমনি।
পরীমনি বলেন, ‘মাসের ১০ তারিখটা আমার কাছে একটা উৎসবের। কারণ, ওই তারিখটিতে বাবু পৃথিবীতে এসেছে। তাই আগামী এক বছর প্রতি মাসের ১০ তারিখ তার জন্মদিন ধরে কেক কাটব, আনন্দ করব। এক বছর গেলে তখন বছর বছর পালন করব।
পরীমনি আরও বলেন, ‘আমার তো তেমন কোনো আত্মীয়স্বজন নাই। বেশির ভাগ সময় আমার কোলেই বেড়ে উঠছে সে। মাস যাচ্ছে, বাবু একটু একটু করে বড় হচ্ছে। ভাবতে কী যে ভালো লাগে। তারিখটিতে বাবুকে নতুন পোশাক পরাই, একটু সাজাই। বাবুর জন্য কেক কাটি। দুই পরিবারের সবাই মিলে এক টেবিলে বসে খাওয়াদাওয়া করি। তারিখটিকে স্মরণীয় করে রাখি আমরা।’
১০ অক্টোবর রাতে কয়েকজন অতিথিসহ বাসার সবাই মিলে ছেলের জন্য কেক কেটেছেন বাবা রাজ ও মা পরীমনি
১০ অক্টোবর রাতে কয়েকজন অতিথিসহ বাসার সবাই মিলে ছেলের জন্য কেক কেটেছেন বাবা রাজ ও মা পরীমনি
পরীমনি জানান, জন্মের তারিখটি উদ্যাপনের জন্য বাবুর বাবা রাজই বেশি আগ্রহী থাকে। আগের রাত থেকেই যেন তার আয়োজন শুরু হয়ে যায়।
পরীমনি বলেন, ‘“পরাণ” ও “হাওয়া” নিয়ে মাঝে বেশ ব্যস্ততা গেছে রাজের। আবার “দামাল” নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। মাঝে শুটিংও ছিল। সব মিলে তিন-চার মাস ধরে তার যেন দম ফেলার সময় নাই। এত ব্যস্ততার মাঝেও সে আমাকে, বাবুকে যে কীভাবে সময় দেয়, মনে হয় যেন ওর ক্লান্তি নাই। আমি ওর ধৈর্য দেখে অবাক হই। মাঝে মাঝে রাজের দিকে তাকিয়ে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। আমাদের তিনজনের একটা মিষ্টি সংসার, সুখের সংসার।’
এদিকে সন্তান জন্মের আগে পরীমনি নিজ থেকেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। সেটিও ছিল তাঁর জন্য সুখের, আনন্দের। এর পর থেকে প্রতিটি সময় তিনি উপভোগ করেছেন, করে যাচ্ছেন।
১০ অক্টোবর রাজ্যের বয়স দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। এদিন
পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে রাজ ও পরীমনি
১০ অক্টোবর রাজ্যের বয়স দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। এদিন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে রাজ ও পরীমনি
কথায় কথায় পরীমনি জানালেন, অন্তঃসত্ত্বা, মা হওয়ার পর থেকে নিজের মধ্যে বদলের কথা, ‘সময়ের পরিবর্তনে চলার বাঁকে বাঁকে মানুষ একধরনের ফ্যান্টাসিতে থাকে, ঘোরের মধ্যে থাকে। প্রতিটি সময়ের আলাদা আলাদা সৌন্দর্য আছে। আমি কিন্তু সেই সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছি, মানুষের জীবন তো একটাই, তা বেশি সময়ের জন্য নয়। তাই কোনো কিছু মিস করতে চাইনি। যেমন এখন আমি সংসার, স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে আছি। এটি এখন আমার রুটিন। এই সময়ের সৌন্দর্য আমি উপভোগ করছি আমি।’