ইবি প্রতিনিধি:
জন্মগতভাবেই প্রতিবন্ধী রাজবাড়ীর পাংশা থানার হাবিবুর রহমান। বাম পা দিয়ে লিখেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েছেন। এবার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে পা দিয়ে লিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ধর্মতত্ত্ব ইউনিটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষের ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন হাবিবুর।
শনিবার(৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের ১০৩ নং কক্ষে পরীক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে পা দিয়ে লিখতে গিয়ে কলম পড়ে যায়। ঠিক ভাবে লিখতে পারি না। তবে আমার অনুপ্রেরণা আমার বাবা-মা,ভাই-বোন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতায় আমি আজ এই পর্যায়ে এসেছি। এছাড়াও স্কুল, কলেজ কোনো জায়গায় আমি প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়নি। সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আজকের পরীক্ষার হলেও স্যার-ম্যামরা অনেক সহযোগিতা করেছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমার মতো যারা এরকম নানা সমস্যায় ভুক্তভোগী তাদেরকে এইটা বলতে চাই যে হীনমন্যতায় ভােগা যাবে না। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা না করলে কোনো কিছুই সম্বব না। চেষ্টা করলে মানুষ অনেক কিছুই পায়। কষ্ট হবে বিপদ আসবে সংগ্রামের সাথে এটিকে জয় করতে হবে।
জানা যায়, হাবিবুরের বাবা আব্দুস সামাদ একজন কৃষক এবং মা হেলেনা খাতুন গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে হাবিবুর দ্বিতীয়। হাবিবুর দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৩ এবং আলিম পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৭ পান।
ইবি কেন্দ্রে আসা হাবিবুর রহমানের দূরসম্পর্কের এক চাচা আজমাল হোসেন জানান, হাবিব যে এতদূর এগিয়েছে এতে এলাকার লোকও খুশি আমরাও খুশি। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
এবিষয়ে পরীক্ষাকক্ষের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থাকা আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ছেলেটি একজন অদম্য জীবন যোদ্ধা। আমরা পরীক্ষা হলে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছি।