জে.জাহেদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এসপি মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। ২৪ তম বিসিএসের এই পুলিশ কর্মকর্তা। বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন। বর্তমানে তিনি পাবনা জেলার এসপি।
পুলিশে যোগদান করার পর মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান প্রশিক্ষণ শেষে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের স্টাফ অফিসার হিসেবে প্রথম পুলিশে যোগদান করেন। খুলনাতে চাকরির ছয়মাস পর ডিএমপি ডিবি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিবি, ডিএমপি পদ থেকে তিনি জাতিসংঘ মিশন এ যান। জাতিসংঘ মিশন থেকে সফলভাবে ফিরে এসে মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এএসপি (সংস্থাপন) হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শেরপুর; অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নারায়নগঞ্জ এ দায়িত্ব পালন করেন।
এএসপি পদ থেকে পদন্নোতি পেয়ে মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার, কাউন্টার টেররিজম বিভাগে যোগদান করেন এসপি মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। সফলতার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে ২০১৮ সালে কুড়িগ্রামে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০২০ সালের শেষের দিকে তিনি পাবনাতে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ৩ই জুন এসপি মহিবুল ইসলাম খান অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। ২০২২ সালের ১৩ই জুন এসপি মহিবুল ইসলাম খানকে র্যাংক পড়িয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে।
ডিএমপিতে উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জঙ্গীবিরোধী অভিযানে সাফল্যের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “বিপিএম” এ ভূষিত হন। এছাড়াও পুলিশ সুপার হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার পুরষ্কার লাভ করেন তিনি।
মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান কুড়িগ্রাম এ পুলিশ সুপার থাকা অবস্থাতেই বিভিন্ন কাজের জন্য জনমানুষের কাছে “মানবিক পুলিশ” হিসেবে আখ্যায়িত হোন। পাবনাতে এসেও তিনি “মানবিক পুলিশ” পদবীটি ধরে রেখেছেন।
চাকরিজীবনে তিনি কুড়িগ্রাম পুলিশ নিয়োগে টাকা ছাড়া ৩৩ জন মেধাবীকে চাকরী দিয়েছেন। মহামারিতে গরীব-দুস্থদের মাঝে ত্রাণ, বস্ত্র, শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন। কুড়িগ্রামে ৩৩ জনকে তদবির ছাড়া মাত্র ১০৩ টাকায় চাকরি দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম থেকে অপরাধ অনিয়ম অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন।
পাবনাতে এসেই কিশোর গ্যাং, মাদক, অনলাইন প্রতারণা, জুয়া পর্ণোগ্রাফি ইত্যাদির মতো অপরাধকে দমন করেছেন। পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে তিনি এক অপার মহত্ত্ব স্থাপন করেছেন।
পাবনা জেলাধীন সকল থানার অপরাধ দমনে কাজ করছেন।
১৯ জন তরুণ-তরুণীকে মাত্র ১০৩ টাকায় কোন তদবির ছাড়াই চাকরি দিয়ে পুলিশি ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।
দক্ষ পুলিশ সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে উদযাপিত পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ এর দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ২০২০ সালে ক’ গ্রুপে তৃতীয় ও ২০২১ সালে ক গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকারের সম্মাননা গ্রহণ করেন পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। চাকরীতে যোগদানের তারিখ ২ জুলাই, ২০০৭ ইং। পেয়েছেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম। ১৯৮০ সালের ২৭ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
পাবনা জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যখন নিষ্ঠা, সফলতা ও সাহসের সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন তখনই ২০২২ সালের ৩ই জুন এক সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। সেখানে লেখা হয় যে, মহিবুল ইসলাম খান বিপিএমকে পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি করা হয়েছে।
মহিবুল ইসলাম খান এই পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন পেয়ে ফেসবুকে লেখেন, “ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।” আলহামদুলিল্লাহ আজ এক সরকারী প্রজ্ঞাপন হলে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেলাম। কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সম্মানিত স্বরাষ্ট্র সচিব, মান্যবর আইজিপি স্যারের প্রতি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পাবনা জেলার সকল আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যগনের প্রতি, সরকারী কর্মকর্তাগন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পাবনার আপামর জনসাধারণের প্রতি।”